শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার সাক্ষরিত এ নোটিশে দখলকৃত জমির বিবরন দিয়ে বলা হয়েছে, ১৯৭০ সালের ২৪নং জরুরি অধ্যাদেশের ৫নং বিধির (১) উপবিধি প্রদত্ত বিধানের অধীন বিধি বলে নির্দেশ প্রদান করা হচ্ছে যে অবৈধ দখলকৃত রেলভূমি খালি করে সংশ্লিষ্ট এসএসএই/কার্য্য, স্টেশন মাস্টার অথবা অধীক্ষেত্রের ফিল্ড কানুনগো/আমিন খুলনার নিকট নিজ দায়িত্বে সাতদিনের মধ্যে বুঝিয়ে দিয়ে সনদ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় উক্ত বিধির (২) উপবিধি মোতাবেক উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং দখলকালীন সময়ের জন্য সরকারের প্রাপ্য অনুসারে ও উচ্ছেদের যাবতীয় খরচ দখলদারকে বহন করতে হবে। ১৯৯৬ সালে খুলনা-বাগেহাট রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর ২০০৮ সালে তুলে ফেলা হয় রেললাইন। রেললাইন তুলে ফেলার পর থেকেই শুরু হয় দখলদারদের দৌরাত্ম। কিন্তু এ দিকে নজর ছিলো না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১ যুগে খুলনায় কানুনগো পদে ৬/৭ জন কর্মকর্তা আসেন। রেলের জমিতে অবৈধ স্থাপনা ও দখলদারদের উচ্ছেদে ছিল না কোন অভিযান। গত ৯ সেপ্টেম্বর “দৈনিক সময়ের খবর” পত্রিকায় ‘খুলনা-বাগেরহাটে রেলের জমিতে অবৈধ বহুতল ভবন, বাড়ছে দখলদারদের দৌরাত্ম’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আদেশক্রমে গত কয়েক দিনে ৬শ’ দখলদারদের তলিকা তৈরি করেছেন বর্তমান খুলনার ফিল্ড কানুনগো মনোয়ারুল ইসলাম। ইতোমধ্যে ৪শ’ ৫০ জনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাকি ১শ’ ৫০ জন দখলদারদের নোটিশ পাঠানোর কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply