শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:০২ অপরাহ্ন

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি
ভর্তি চলিতেছ রৌফন রেডিয়ান্ট স্কুলে প্লে গ্রুপ থেকে শুরু। চুলকাটি বাজার, (রুটস বাংলাদেশ) বনিকপাড়া রোড, বাগেরহাট।
সংবাদ শিরোনাম :
বর্ণাঢ্য আয়োজনে রামপালে জাতীয় ভোটার দিবস পালন রামপালে স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপন  বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা  প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করেছে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন পশুর চ্যানেলে তলা ফেটে দুর্ঘটনাকবলীত কার্গো জাহাজটি এখও ঝুকি মুক্ত নয়, চলছে কয়লা অপসারণ মোংলায় কয়লা নিয়ে পশুর নদীতে কার্গো ডুবি, ১১ নাবিক জীবিত উদ্ধার মোংলা বন্দরের সিবিএ’র কর্মচারী সঘের সাবেক সাঃ সম্পাদক এস এম ফিরোজ সহ ৩ জনের সদস্য পদ বাতিল ফকিরহাটের মাসকাটায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের। মাদারদিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা  মোংলা বন্দর ও উপকুলীয় এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টি কেএমপি’র মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক কারবারি ৮ জন আটক
শিক্ষার নামের সরকারী প্রকল্পের টাকা হরিলুট, বঞ্চিত পথ শিশুরা

শিক্ষার নামের সরকারী প্রকল্পের টাকা হরিলুট, বঞ্চিত পথ শিশুরা

স্টাফ রিপোর্টার, মোংলা

ঝরে পড়া শিশুদের শিার আওতায় আনার জন্য সরকারের গৃহীত কর্মসূচি ‘আউট অব চিলড্রেন এডুকেশন’ কার্যক্রম মোংলায় কাগজ কলমে থাকলেও বাস্তবে তার ভিন্ন চিত্র। কিছ কিছুু জায়গায় সাইনবোড লাগানো ঘর, শিক্ষক আর সুপারভাইজার থাকলেও তদারকির অভাবে তার নেই কোন কার্যক্রম ও স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী। দুইটি এনজিও সংস্থা প্রকল্প দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে সরকারী কোটি কোটি টাকা, ফলে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এখানকার ঝড়ে পরা শিশুরা। সয়শ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসন বলছে, অভিযোগ পেয়েছি, শিক্ষা নামে অনিয়ম হলে তদন্ত করে নেয়া হবে ব্যাবস্থা।

জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুারো অফিসের দেয়া তথ্য মতে জানা যায়, প্রাথমিক স্কুল থেকে ঝরে পড়া ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের শিার আওতায় আনার জন্য প্রাথমিক ও গণশিা মন্ত্রণালয়ের উপানুষ্ঠানিক শিা কার্যক্রম ‘আউট অব চিলড্রেন এডুকেশন’ নামের একটি প্রকল্প গ্রহন করেন সরকার। ২০২০ সালের জানুয়ারীতে মোংলা উপজেলার পৌরসভা সহ ৭টি ইউনিয়নে ২ হাজার ১০০ জন ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষা প্রদানের জন্য এ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। সরকারের গৃহিত ৪২ মাসের এ প্রকল্পের জন্য মোংলায় নীড় সেবা সংস্থা ও সিডোপ নামের দুইটি এনজিওর মাধ্যমে ৩৫টি করে ৭০টি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কেন্দ্র খোলা হয়। প্রতিটি শিক্ষা কেন্দ্রে ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য একজন শিক ও ৭০টি শিক্ষা কেন্দ্র দেখবাল করার জন্য ১০জন সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসকল শিক্ষকের জন্য প্রতি মাসে ৫হাজার ও সুপারভাইজারের ১৫ হাজার টাকা বেতন দেয়া হবে মর্মে নিয়োগ পায় তারা। কিন্ত এ দুই এনজিও পরিচালনায় কর্তা ব্যাক্তিরা শিশুদের শিক্ষার নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। আর সুপারবাইজার যারা রয়েছে তারা শিক্ষা কেন্দ্র তদারোকীর কথা থাকরেও তা না করে ঘুড়ে বেরাচ্ছে শহরের অলি গলিতে।

এছাড়া যে শিক্ষা কেন্দ্রগুলো খোলা হয়েছে তা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, খুপড়ি ঘর আর মাঠের মধ্যে, ডোবার ধারে শিশুদের শিা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এছাড়া বসতবাড়িতে, পরিত্যক্ত দোকানে অথবা গোয়াল ঘরের পাশে খোল হয়েছে শিক্ষা কেন্দ্র। আবার অনেক কেন্দ্রের শুধু নামসর্বস্ব সাইনবোর্ড থাকলেও নেই কোন ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষা কার্যক্রম। কোন কোন জায়গায় পাঠদান চলছে খুপড়ি ঘড়ের বারান্দায়। নিয়ম আছে প্রতিটি স্কুল ঘরের ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে ১৫শ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তা গিলে খাচ্ছে এনজিওরা। এ দুটি এনজিও সংস্থা কেন্দ্র পরিচালনায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জরিয়ে পরছে বলে অভিযোগ এলাকার অনেকেরই। এছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ প্রায় শেষ কিন্ত এখনও দেয়া হয়নী শিক্ষক-শিক্ষীকার বা সুপারভাইজারের বেতন-বাতাধী। ফলে মুখ থুবড়ে পরছে সরকারের এ প্রকল্পের কার্যক্রম। ঝরে পড়া ওই সব শিার্থীদের প্রদান করার কথা বিনা মূল্যে বই, খাতা, কলম, পোশাক, স্কুল ব্যাগ মাসিক ১২০ টাকা করে উপবৃত্তিসহ নানা সুযোগ সুবিধা। যার সব কিছুই সরকার প্রদান করবে। কিন্ত এসকল সুযোগ সুবিধা এনজিও মাধ্যমে হওয়ায় তার অধিকাংশ থেকে বাদ পরেছে এসকল অসহায় শিশুরা বলে অভিযোগ জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের।

অপরদিকে, শিক্ষক ও সুপারভাই মিলে এলাকা থেকে খুজে নিয়ে প্রতিটি কেন্দ্রে ৩০ জন ছাত্র/ছাত্রী রাখার কথা থাকলেও কিছু কিছু কেন্দ্রে ২/৩ জন দেখা গেছে। আবার অনেক কেন্দ্রের তালা বদ্ধ রয়েছে বহু দিন থেকে। এছাড়া ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ আছে এই প্রকল্পের শিক-শিক্ষীকা ও সুপারভাইজার নিয়োগের েেত্রও। এমনকি শিক-কর্মচারীদের বেতন থেকে এখন কমিশন হিসেবে টাকা নেয়া হবে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সরকারের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা মিলেমিশেই এসব করছে বলে অভিযোগ করেছে অনেকে।
এ ব্যাপারে নীড় সেবা সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার লিপি ধনী জানায়, সরকারের কাছ থেকে এখনও অর্থ ছাড় না পাওয়ায় শিক্ষক, সুপারভাইজারদের বেতন, ছাত্র-ছাত্রীদের শিা উপকরণ, বৃত্তি দিতে না পারায় কার্যক্রম একটু ঝিমিয়ে পড়েছে। আমরা আশা করছি এই মাসের মধ্যে সকল সমস্যার সমাধান হবে।

মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপংকর দাশ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুারো জেলা সহকারী পরিচালক হিরামন কুমার বিশ্বস বলেন, উপানুষ্ঠানিক শিা ব্যুরো থেকে একটি প্রকল্প যা দুটি এনজিও সংস্থা বাস্তবায়ন করছে। নীড় ও সিডোপ এনজিও তাদের শিা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করছে কিনা সে বিষয়ে আমি অবগত নই। তে খোজ খবর নেয়া হচ্ছে, সংস্থার বিরুদ্ধে সরকারী প্রকল্পে অনিয়ম পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপানুষ্ঠানিক শিা কেন্দ্রগুলোর অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এমটাই দাবী স্থানীদের।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

  1. © স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০২০২১, www.chulkati24.com

কারিগরি সহায়তায়ঃ-SB Computers