শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
বাগেরহাট অফিস
নাম তার নির্মল মন্ডল (সাধু)। চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তিনি।কিন্তু কাজে মিলেছে তিনি জনপ্রতিনিধির আড়ালে সাধুনামধারী একজন ভয়ঙ্কর প্রতারক।এলাকার অসংখ্য জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে বিধবা ভাতার কার্ডের তালিকায় নাম দিয়েছেন।এসব কার্ডের টাকা উত্তোলনের জন্য নিজের মোবাইল নম্বর ও স্ত্রীর নম্বর থাকার সত্যতা মিলেছে।এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই জনপ্রনিধি আর যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে এবং তার অপকর্মের তদন্তসহ দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করেছেন।এলাকার ভুক্তভোগী পরিবার ও লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে,সন্তোষপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্মল মÐল (সাধু) এলাকার ভোটারদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপিসহ অন্যান্য কাগজপত্র নেন।এসব কাগজের মাধ্যমে অসংখ্য জীবিত লোকজনকে মৃত দেখিয়ে ভাতার কার্ড তৈরি করেন।এসব ভাতার কার্ডের তালিকায় টাকা উত্তোলনের জন্য যেসব মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে তার অধিকাংশই ওই ইউপি সদস্যের ও তার স্ত্রীর।প্রতারণা শুধু এখানেই শেষ নয়।ওই জনপ্রতিনিধি একদিকে জীবিতদের মৃত দেখিয়ে যেমন বিধবা ভাতার কার্ড তৈরি করে টাকা উত্তোলনের জন্য নিজের নম্বর ও স্ত্রী’র মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেছেন তেমনি পঙ্গু ও বয়স্ক ভাতার তালিকায়ও বহু স্থানে ওই একই নম্বর বসানো হয়েছে। বিধবাদের তালিকায় নিজের স্ত্রী’র মোবাইল নম্বর বসিয়ে তাকেও বিধবা দেখানো হয়েছে।এছাড়া তিনি চাকরি দেওয়ার কথা বলে এলাকার অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের সুচিত্রা বালা কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান,আমার স্বামী নিত্যানন্দ বালাকে মৃত দেখিয়ে আমার নাম বিধবা ভাতার কার্ডের তালিকায় দেওয়া হয়েছে।এটা ভাবতে কষ্ট হচ্ছে।এমন অসংখ্য নারীকে বিধবা বানানো হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।এসব অপকর্মের তদন্তসহ দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।সন্তোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামিয়া রহমান বিউটি জানান,এসব তালিকার ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে যাচাই-বাছাই করা হয়।ভাতার কার্ডে এমন অনিয়ম করা হয়েছে বিষয়টি তার জানা নেই।সন্তোষপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্মল মÐল (সাধু) জানান, ভাতার তালিকায় ভুলবসত দু’একটি নাম আসতে পারে।তিনি কোন অনিয়মের সাথে জড়িত নন বলে নিজেকে দাবি করেন।উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আবুমুছা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,ভাতার কার্ডের অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে একাধিবার আইন-শৃঙ্খলা মিটিংয়ের সভায় আলোচনা করা হয়েছে।এ জাতীয় ভাতার তালিকা পাওয়ার পর বিষয়টি তিনি যাচাই-বাছাই করে দেখছেন।বাগেরহাট জেলা নার্সারী মালিক সমবায় সমিতির অর্থিক সহায়তার আবেদনবাগেরহাট অফিসকরোনা পরিস্থিতি ও অনাবৃষ্টির কারনে নার্সারীর ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতির কারনে বাগেরহাটে জেলা নার্সারী মালিক সমবায় সমিতির পক্ষে মালিক এবং শ্রমিকদের অর্থিক অনুদান ও ত্রান সহায়তার জন্য আবেদন করেছে।বুধবার (৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের বরাবরে দাখিলকৃত আবেদন পত্রটি জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্র্বিক খন্দকার মোহম্মদ রেজাউল করিমের কাছে জমাদেন, বাগেরহাট সাধারন সম্পাদক রিপন রায় আকাশ।এসময় নার্সারী মালিক সমবায় সমিতির সদস্য শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।এব্যাপারে জেলা নার্সারী মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি আ: হাকিম চাকলাদার সাংবাদিকদের জানান,বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও অনাবৃষ্টির কারনে নার্সারীর ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে পড়েছি।যার কারনে নার্সারিতে কর্মরত শ্রমিকদের কর্ম হাররিয়ে বেকার হয়ে পড়েছে।তাই আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে অর্থিক সহয়তার আবেদন করেছি যাতে আমরা আবার এই ব্যবসায় ক্ষতি পুশিয়ে ঘুরে দাড়াতে পারি।
Leave a Reply