মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি
ভর্তি চলিতেছ রৌফন রেডিয়ান্ট স্কুলে প্লে গ্রুপ থেকে শুরু। চুলকাটি বাজার, (রুটস বাংলাদেশ) বনিকপাড়া রোড, বাগেরহাট।
সংবাদ শিরোনাম :
বর্ণাঢ্য আয়োজনে রামপালে জাতীয় ভোটার দিবস পালন রামপালে স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপন  বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা  প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করেছে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন পশুর চ্যানেলে তলা ফেটে দুর্ঘটনাকবলীত কার্গো জাহাজটি এখও ঝুকি মুক্ত নয়, চলছে কয়লা অপসারণ মোংলায় কয়লা নিয়ে পশুর নদীতে কার্গো ডুবি, ১১ নাবিক জীবিত উদ্ধার মোংলা বন্দরের সিবিএ’র কর্মচারী সঘের সাবেক সাঃ সম্পাদক এস এম ফিরোজ সহ ৩ জনের সদস্য পদ বাতিল ফকিরহাটের মাসকাটায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের। মাদারদিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা  মোংলা বন্দর ও উপকুলীয় এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টি কেএমপি’র মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক কারবারি ৮ জন আটক
বাগেরহাটে জমি নিয়ে বিরোধের জের: হয়রানীমুলক মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও বারবার টুকে দেওয়া হয় মিথ্যা মামলা

বাগেরহাটে জমি নিয়ে বিরোধের জের: হয়রানীমুলক মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও বারবার টুকে দেওয়া হয় মিথ্যা মামলা

বাগেরহাট অফিস
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিন সুতালড়ী (ভাষন্ডা) গ্রামের কবির বয়াতির নামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দায়ের করা হয়রানীমুলক মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও বার বার টুকে দেওয়া হয় মিথ্যা মামলা।বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন কবির বয়াতির বোন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাখাওয়াত হোসেনের স্ত্রী মর্জিনা বেগম।এসময়,বীর মুক্তিযোদ্ধা সাখাওয়াত হোসেন,কবির বয়াতির স্ত্রী লাকি বেগম উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে কবির বয়াতির বোন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাখাওয়াত হোসেনের স্ত্রী মর্জিনা বেগম বলেন, বারুইখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য গাউছুল হক দুলাল ও তার লোকজনের সাথে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রযেছে।জমির বিষয়ে গাউছুল হক দুলালসহ ৮২ জনের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেদ্ধাজ্ঞা রয়েছে।তারপরও দুলাল ও তার লোকজন গায়ের জোরে আমাদের জমি দখলের জন্য বেপরোয়াভাবে আমাদের উপর কয়েকবার হামলা করেছে।শুধু হামলা করেই শান্ত হয়নি তারা,আমাকে এবং আমার ভাই কবির বয়াতীকে একের পর এক মামলা করে হয়রানি করছেন।গাউছুল হক দুলাল ও তার সহযোগিরা পুলিশের সাথে সখ্যতা করে আমার ভাই কবির বয়াতীর নামে ২২টি মামলা দিয়েছেন।যার প্রতিটি মামলাই মিথ্যা।এর মধ্যে ৮টি মামলা ইতোমধ্যে মিথ্যা প্রমান হওয়ায়,আদালত আমার ভাইকে বেখসুর খালাস দিয়েছেন।
গাউছুল হক দুলালদের হাত থেকে বাঁচতে আমার ভাই কবির বয়াতি বাগেরহাটের ভাড়া বাসায় থাকা শুরু করে।এই অবস্থায় সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন লোকের সামনে বাসা থেকে আমার ভাই কবির বয়াতিকে তুলে নেয়।পরবর্তীতে জানতে পারি ডেমা বড়বাশবাড়িয়া এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় আমার ভাইকে। কিন্তু আমার ভাই ওই এলাকায় কখনওই যায়নি।এভাবেই দিনের পর দিন আমার ভাইকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।এভাবে যদি প্রশাসন একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয় তাহলে আমরা কার কাছে নিরাপদ।আমরা সকল ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক বিচার চাই।
তিনি আরও বলেন,চলতি বছরের ২৮ আগস্ট মোঃ মাসুম তালুকদার নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে আমার ভাই কবির বয়াতির নামে একটি চুরি মামলা দেয়।কিন্তু মামলায় উল্লেখিত ঘটনার সময় ২৮ আগষ্ট আমার ভাই ফকিরহাটের অন্য একটি মিথ্যা মামলায় ৪ জুন থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাগেরহাট জেলা কারাগারে ছিলেন।এভাবেই দিনের পর দিন প্রতিপক্ষ ও প্রশাসন যোগ সাজোসে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।বিনা অপরাধে তাকে বানানো হয়েছে কথিত ডাকাত।তাদের দেওয়া মামলাগুলো সঠিক ভাবে তদন্ত করলে দেখা যাবে সব মামলাই মিথ্যা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাখাওয়াত বেপারী বলেন,শুধু জমির বিরোধের জন্য আমরা শেষ হয়ে যাচ্ছি।গাউছুল হক দুলাল ও তার লোকজন এত বেপরোয়া যে এলাকার কোন লোক তাদের বিরুদ্ধে কথাও বলে না।ওরা আমার শ্যালক কবির বয়াতি ও আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে। একজন মুক্তযোদ্ধা হওয়া স্বত্তেও তারা আমাকে ও আমার পরিবারকে একাধিকবার মারধর করেছে। মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সামনে এই দুলাল ও তার লোকজন আমার মুক্তিযোদ্ধার ব্যাচ খুলে ফেলে আমাকে লাঞ্চিত করেছে।শুধু আমাদের নয়,এলাকার অনেক সাধারন মানুষকে বিনা কারনে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে তারা।তাদের মামলার ভয়ে অনেক মানুষ এখন এলাকা ছাড়া। মামলাবাজ দুলালের কঠোর শাস্তির দাবি জানান এই মুক্তিযোদ্ধা।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য গাউছুল হক দুলাল বলেন,কবির বয়াতি একবার আমার ঘেরের মাছ ধরে নিয়েছিল সেই বিষয় নিয়ে তার সাথে আমাদের কিছু বিরোধ রয়েছে।যেসব মামলার কবিরের নামে দেওয়া হয়েছে সেসব অপরাধ কবির বয়াতি করেছে।আমি তাকে কোন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করি নেই।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইদুর রহমান বলেন,অপরাধী হলেই তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়।কোন নিরাপরাধ লোকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার সুযোগ নাই।কবির বয়াতি অপরাধী তাই মামলা করা হয়েছে।

 

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

  1. © স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০২০২১, www.chulkati24.com

কারিগরি সহায়তায়ঃ-SB Computers