মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ০৮:০৭ অপরাহ্ন
চুলকাঠি অফিস
বিদেশি ফল ড্রাগন চাষে বাণিজ্যিকভাবে সফলতা পেয়েছেন এভারগ্রীণ রিসোর্ট এন্ড বার্ড পার্ক লিমিটেড এর স্বত্ত্বাধিকারী পাখি প্রেমিক মোঃ ফজলুল করিম।জানা যায়, সদর উপজেলার সিএন্ডবি বাজার সন্নিকটে মহাসড়কের অদূরেই উৎকুল গ্রামের মো. ফজলুল করিমের পার্কটি অবস্থিত। এটি একটি কৃষি ভিত্তিক পার্ক। কৃষি উৎপাদন, খামারী কাজ, গবাদি খামার, পাখি পালন সহ কৃষি কর্মকান্ড সম্পর্কিত পার্কটিতে বাণিজ্যিকভাবে কৃষিভিত্তিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হয়। ২০ একর জমির উপর বাণিজ্যিক ভাবে ড্রাগনের চাষ করে এক অভুতপূর্ব সফলতা অর্জন করেছেন এ ব্যক্তি। তার এ সফলতায় কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও হতবাক হয়েছেন।খামারী মো. ফজলুল করিম জানান, ২০১৫ সালে ড্রগন বাগানের সূচনা করেন তিনি মাত্র ১৬০টি চারা দিয়ে। ২০ একর জমির উপরে তার বাণিজ্যিক ভাবে ড্রাগন খামারে এখন গাছের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এ দেশের আবহাওয়া লাল, হলুদ এবং সাদা ড্রাগন ফল চাষের জন্য বেশ উপযোগী হলেও তিনি গড়ে তুলেছেন লাল ড্রাগনের খামার।
গাছে ফল ফলাতে প্রাকৃতিক পরাগায়নের পাশাপাশি কৃত্রিম পরাগায়নও করা হয়। গাছগুলিকে ওপরের দিকে ধরে রাখার জন্য সিমেন্ট/বাঁশের খুঁটির সঙ্গে ওপরের দিকে বেধে দিয়েছেন। ড্রাগনের চারা বা কাটিং রোপণের ১০ থেকে ১৫ মাসের মধ্যেই ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি ফলের ওজন ২৫০ গ্রাম থেকে এক কেজিরও বেশী হয়েছে। একটি পূর্ণাঙ্গ গাছ থেকে ১০০ থেকে ১৩০টি পর্যন্ত ফল পেয়েছেন তিনি।
ফজলুল করিমের খামারে এ বছর ড্রাগনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন প্রতি সপ্তাহে তার ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে চার থেকে পাঁচ মন করে। যা বাজারে পাইকারি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪ শত টাকা থেকে ৭ শত টাকা দরে। এখন প্রতিদিন তার খামার থেকে বিক্রি হচ্ছে ড্রাগ গাছের চারা। প্রতিটি ড্রাগনের চারা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। এবছর করোনার মধ্যেও তার এতো ফলন ও ফলের চাহিদা তাকে এ চাষে আরও আগ্রহী করে তুলছে। অনেকেই তার কাছ থেকে চারা কিনছে। তার চারা নিয়ে কেউ কেউ ছোট-বড় খামারও করছে। ড্রাগন চাষ বিশেষ করে করোনাকালে বিদেশ ফেরতদের কর্মসংস্থানের অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে বলে জানান তিনি।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রঘুনাথ কর বলেন, ফজলুল করিমের ড্রাগন চাষের সফলতা দেখে জেলায় অনেকেই এখন ড্রাগন ফলের চাষ করছেন। প্রতি মাসেই বাড়ছে ড্রাগন চাষের জমির পরিমান। বিদেশে এ ফসল দেশের মাটিতে চাষ বৃদ্ধির লক্ষে কৃষি বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এ ফল চোখকে সুস্থ রাখে, শরীরের চর্বি কমায়, রক্তের কোলেস্টেরল কমায়, উচ্চ রক্তচাপ কমানোসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। করোনার কারনে স্থানীয় বাজার সৃষ্টি হওয়ায় এ ফল চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
Leave a Reply