শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০২ পূর্বাহ্ন
আঃ রাজ্জাক শেখ,(সিনিয়র স্টাফ রির্পোটার) : মুদি দোকানে বাকি খাওয়ার বিরোধে রূপসা উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মুদি দোকানি ও মাদ্রাসা ছাত্র মুসা শিকদারকে(১৬) হত্যা মামলায় ৩০২ ধারায় ৪ আসামীকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২ আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত । বুধবার (২ সেপ্টেম্বর )খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো : মশিউর রহমান চৌধুরী এরায় ঘোষণা করেন । মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ৪ আসামীর প্রত্যেককে ৩৬৪ ধারায় ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, আলাইপুর গ্রামের বনি আমিন সিকদার (২০), রাহিম শেখ (২১), রাজু সিকদার(২০) ও নুহু শেখ(৩৫)। খালাস প্রাপ্তরা হলেন, একই গ্রামের সিরাজ শিকদার (৫০) ও জসিম শিকদার(৫৫)। রায় ঘোষণাকালে চার্জশীটভুক্ত ৬ আসামীই আদালতের কাঠগড়ায়উ পস্থিত ছিলেন । এরআগে ৬ আসামীর মধ্যে ৪ আসামীই আদালতে স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় রূপসা উপজেলার আঠারোবেকি নদী থেকে রূপসা থানার আলাইপুর গ্রামের মুদি দোকানদার ও মাদ্রাসা ছাত্র মুসা শিখদারের লাশ পাওয়া যায় । মুদি দোকানে বাকি
খাওয়া ও গুলতি মারা নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিরোধে এহত্যাকান্ড সংঘটিত হয় । ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন মুসার পিতা মোস্তাকিম শিকদার । মামলায় চার জনের নাম দেওয়া হয় । এরা হলেন, বনি আমিন, রাহিম শেখ, নুহু শেখ ও রাজু শিকদার। আদলত মামলাটি নথিভুক্ত করার জন্য রূপসা থানা ওসিকে নির্দেশ দেন । এরপর ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারী থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয় । (রূপসা থানার মামলা নং-১২, তারিখ ১৫/১/২০১৯। মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। জেলা ডিবির এসআই মুক্ত রায় চৌধুরী মামলাটি
তদন্ত করেন । তিনি ২০১৯ সালের ৩০ মে আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন । ২০১৯ সালে ১৪ অক্টোবর চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয় । আদালতের বিভিন্ন কার্য দিবসে ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) আদালত এরায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালন করেন পিপি এনামুল হক ও এপিপি এম ইলিয়াস খান । আসামী পক্ষে ছিলেন, মো: ফরহাদ আব্বাস ও নিরঞ্জন কুমার ঘোষ।
নিহতের পিতা মোস্তাকিম শিকদার ও মাতা রাশিদা বেগম বলেন, আমরাতো আর আমার কলিজার টুকরা ছেলে মুসাকে ফিরে পাবোনা ।কিন্তু আজকে আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের ন্যায় বিচার হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট ।যদিও আমাদের মাঝে কলিজার টুকরা মুসা নেই কিন্তু তাকে হত্যায় জড়িত আসামীর মৃত্যুদন্ডর আদেশ দেওয়ায় আমরা এখন একটু খুশি হয়েছি ।
Leave a Reply