শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা  উপলক্ষে জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন বাগেরহাট জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক
সংবাদ শিরোনাম :
চুলকাটিতে বিশাল গরু ছাগলের হাটের শুভ উদ্বোধন  চুলকাটি বাজার রেলস্টেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় মোল্লাহাটে টিসিবির ৫৪০ লিটার সয়াবিন তেলসহ আটক ১ মোল্লাহাটে শিশু যত্ন কেন্দ্রের কেয়ার কিপারদের ৭ দিন ব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে পরিবেশ বান্ধব চারা বিতরণ জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের বাগেরহাট জেলা-কমিটি অনুমোদন নয়ন স্মৃতি নাইট শর্ট ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সৈয়দপুর চ্যাম্পিয়ন আত্মসমর্পণকারী দস্যুরা পেল র‌্যাবের ঈদ উপহার বাগেরহাটে দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন শেখ তন্ময় এমপি বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির দাবিতে মোংলায় মানববন্ধন
বাংলাদেশের সরকারি পাটকলগুলো বন্ধ করলো সরকার, দায় আসলে কার

বাংলাদেশের সরকারি পাটকলগুলো বন্ধ করলো সরকার, দায় আসলে কার

বাংলাদেশ রাষ্টায়ত্ত ২৫টি পাটকল বন্ধ ঘোষণা করে প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিককে অবসরের পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এর মধ্য দিয়ে মূলত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল যুগের অবসান ঘটলো।সরকার বলছে লোকসানের কারণেই এসব পাটকল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে গবেষকরা বলছেন লোকসানের জন্য দায়ী ছিলো ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি আর দুর্নীতি যেগুলো সরকার কখনো বন্ধের চেষ্টা করেনি।অথচ গত বছরের পাট দিবসে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন “এতো হতাশ হওয়ার কি আছে। আর আমি লোকসান লোকসান করবো কেন। এমন একটি পণ্য যার কিছুই ফেলা যায়না সেটা কেন লোকসান হবে। আমরা লোকসান শুনতে চাইনা। লাভজনক কিভাবে করা যায়, কিভাবে করতে হবে সেটা দেখতে হবে। কৃষিপণ্য হিসেবে পাটজাত পণ্য প্রণোদনা পেতে পারে”।এক বছর আগে জাতীয় পাট দিবসের অনুষ্ঠানে লোকসানে হতাশ না হওয়ার কথা বললেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই শেষ পর্যন্ত লোকসানকেই কারণ হিসেবে দেখিয়ে পঁচিশটি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যা কার্যকর হয়েছে পহেলা জুলাই থেকে। এর ধারাবাহিকতাতেই এখন চলছে প্রায় পঁচিশ হাজার শ্রমিকের দেনা পাওনা মেটানোর হিসেব।যদিও সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরেই পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছিলো আট শতাংশের মতো। তবে আর এ রপ্তানির আশি ভাগই বেসরকারি পাটকলগুলোর। বিপরীতে গত এক দশকেই রাষ্ট্রায়ত্ত কলগুলো লোকসানের পরিমাণ প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা।অথচ একটা সময় ছিলো যখন পাটকলের চাকুরীই ছিলো সোনার হরিণের মতো, বলছিলেন খুলনার ইস্টার্ন জুটমিলে তিন দশকেরও বেশি সময় কাজ করেছেন এমন একজন শ্রমিক আব্দুল মজিদ।”আমি ১৯৭৫ সালের পহেলা জানুয়ারিতে চাকুরীতে যাই। আমার তখন ২২ বছর বয়স। আমরা জুট মিলকে কেন্দ্র করে রঙ্গিন স্বপ্ন দেখতাম। অন্য চাকুরীতে বোনাস পেতোনা। জুট মিলে আমরা পেতাম। অনেক আর্থ সামাজিক সুযোগ সুবিধা ছিলো। সেজন্য চাকরীতে আগ্রহী হলাম যে নিজেরা ভালো থাকবো, ছেলে মেয়েদের মানুষ করতে পারবো। এ আশা নিয়েই জুট মিলে ঢুকেছিলাম কিন্তু হাজার হাজার শ্রমিক আজ পথে নেমে গেছে”।রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো বন্ধ করে দেয়ার পর সরকার অবশ্য বলেছে শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা কারণ তাদের প্রাপ্য যত অর্থ আছে সব পরিশোধ করা হবে, যার ফলে চাকুরী হারানো প্রায় পঁচিশ হাজার শ্রমিক কমপক্ষে ১৪ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৪ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ পাবেন।আর এতো অর্থ ব্যয় করে পাটকলগুলো বন্ধ করার ক্ষেত্রে সরকারের একমাত্র যুক্তিই হলো এগুলোর লোকসান, এখন যার পরিমাণ প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা। সরকারী পাটগুলোর দায়িত্বে থাকা বিজেএমসি সর্বশেষ লাভের মুখ দেখেছিলো ২০১১ সালে, তাও সেটি ছিলো সাতাশ বছরের মধ্যে লাভের একমাত্র উদাহরণ।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

  1. © স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০২০২১, www.chulkati24.com

কারিগরি সহায়তায়ঃ-SB Computers