রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার উন্নয়ন বরাদ্দ বঞ্চিত ৬ জন ইউপি চেয়ারম্যান আল্টিমেটাম দিয়ে পরিষদের সকল সভা ও সমন্বয় সভা বর্জন ২য় মাসেও অব্যাহত রেখেছেন। বিগত এক মাসেও পরিস্হিতির উন্নতি না হওয়ায় উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভার কার্যক্রমে তারা অংশগ্রহণ করেননি। তাদের সেই আল্টিমেটামে তারা অনড় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে ৭ জনের মধ্যে ৯ নং মল্লিকেরবেড় ইউপি চেয়ারম্যান সাবির আহমেদ আল্টিমেটাম ভেঙ্গে বৃহস্পতিবারের নির্ধারিত (১৩ জুন) সমন্বয় সভায় যোগ দিয়েছেন। বাকী ৬ জন চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদকে সহযোগীতা করবেন না বলেও ঘোষণা দিয়ে অনড় রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত(১৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে নির্ধারিত সমন্বয় মিটিং এ হাজির হয়ে ৭ জন চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলমের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে তারা দাবী করেছিলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য স্হানীয় সরকারের গুরুত্ব অপরিসীম এবং ইউনিয়ন পরিষদের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্হানীয়ভাবে বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। এরমধ্যে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য এডিবি ও রাজস্ব ফান্ডের কোটা স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যানগণ পেয়ে থাকি। যা ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হয়ে থাকে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও জানান, উপজেলার ১০ টি ইউপির মধ্যে ৭ জন চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন পরিষদের কোন উন্নয়ন বরাদ্দ আমাদের দেন না। যে কারণে আমাদের ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক সকল কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এবং জনগণের রোষানলেও পড়তে হচ্ছে। উপজেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন উন্নয়ন বরাদ্দের সুষম বণ্টন না করে তার ব্যক্তিগত পছন্দের অনির্বাচিত দলীয় লোকদের দিয়ে নিন্মমানের কাজ করছেন যা সর্বমহলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। নির্বাচনের পর থেকে অদ্যাবধি উপজেলা পরিষদের কোন বরাদ্দ আমরা পাইনি বরং বৈষম্যমূলক আচারণের শিকার হয়েছি ৭ জন চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে কোন সুরাহা না হলে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভাসহ সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে আমরা বিরত থাকবো।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পদক সেখ মোয়ায়াজ্জেম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ৭ জন ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যে থেকে একজন বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সমন্বয় সভায় উপস্থিত হয়েছেন। সম্মানিত অন্য চেয়ারম্যানগণদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশাকরি সকল সমস্যার সমাধান হবে।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম জানান, চেয়ারম্যানগণের আবেদন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে প্রযোজনীয় ব্যবস্হা নেয়া হবে।
Leave a Reply