মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:১২ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার মোংলা
মোংলায় কোস্টগার্ড ও পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়কালে দুই ব্যক্তিকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছেন স্থানীয়রা। আটক ওই দুই ব্যক্তিকে থানা পুলিশে দিয়েছেন কোস্টগার্ড। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ও চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলাম জানান, কোস্টগার্ড ও পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে
নুর ইসলাম (৪৫) বেল্লাল (৩৭) নামের দুই ব্যক্তি মঙ্গলবার সকাল থেকে জয়মনি ও চিলা এলাকার পশুর নদীর জেলেদের কাছ থেকে ৮হাজার, ২হাজার, ১হাজার ও ৫শ করে চাঁদা আদায় করছিলো। ওই দুই ব্যক্তি বেলা ১১টার দিকে চিলা এলাকার জেলেদের কাছ থেকে যখন চাঁদা আদায় করছিলো তখন জেলেদের মধ্য থেকে একজন বিষয়টি ফোন করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে জানান। খবর পেয়ে মৎস্য কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে যেতেই ওই দুই ব্যক্তি দৌঁড়ে পালানের চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয় জেলেরা ধাওয়া করে ওই দুই ব্যক্তিকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে আটকে রাখেন। পরে মৎস্য কর্মকর্তা কোস্টগার্ডকে খবর দিলে কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে এসে মৎস্য কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তাদের নিয়ে গিয়ে থানায় হস্তান্তর করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম। আটককৃতদের বাড়ী পৌর শহরের কলেজ রোড এলাকায়।
চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলাম বলেন, জেলেদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি ৬/৭ বছর ধরেই নুর ইসলাম ও তার সহযোগী বেল্লাল পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের নাম ভাঙ্গিয়ে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। মঙ্গলবারও তারা লাখ খানেক টাকা চাঁদা আদায় করেছেন বলে জানিয়েছেন জেলেরা। মুলত জেলেদের ভয়ভীতি দেখিয়ে এই চাঁদাবাজি করে আসছিলো তারা। কোন জেলে টাকা দিতে না চাইলে কোস্ট গার্ড ও পুলিশ দিয়ে তাদের জাল নৌকা ধরে নিয়ে যাবেন বলে প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি দিতেন বলেও অভিযোগ করেছেন জেলেরা। কোস্ট গার্ড ও পুলিশের নাম বলায় নিরীহ জেলেরা ভয়ে ওই নুর ইসলাম ও তার সহয়োগীকে নিয়মিত চাঁদা দিয়ে আসছিলেন।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, যাদেরকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ড মামলা দিলে পরবর্তীতে পুলিশের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply