শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা  উপলক্ষে জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন বাগেরহাট জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক
সংবাদ শিরোনাম :
মোংলা দিগরাজ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় কলেজের নবীন বরণ রামপালে বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন গাছ আমাদের পরম বন্ধু তাকে নিধন থেকে রক্ষা করি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন কমিটির নির্বাচিত (ডাইরেক্টর) কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমকে চুলকাটি প্রেসক্লাবের অভিনন্দন ফকিরহাটে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ৮দলীয় ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে মিডিয়া ফিলোশীপ ঘোষণা আজ শুরু হচ্ছে সুন্দরবনের দুবলার চরে ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব বাগেরহাটে পৃথক ঘটনায় দুইজনকে হত্যা সুন্দরবনে বনদস্যু আসাবুর বাহিনীর প্রধানসহ আটক ২, দুটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার বাগেরহাটে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে বিএনপির কর্মসূচীতে হামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা ফকিরহাটে বিনাম্যল্যে ১২৩০ কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ
বাগেরহাটে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপ

বাগেরহাটে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপ

বাগেরহাট  প্রতিনিধি :
বাগেরহাটে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপ। শিশু ও বৃদ্ধসহ মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিদিন। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি। জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত জ্বর, সর্দি, কাশি আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে সদর হাসপাতালে আসছেন রোগীর স্বজনরা। প্রতিদিন জেলা হাসপাতালে প্রায় ৯শ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বহির্বিভাগে। এর সঙ্গে রয়েছে ভর্তি থাকা রোগী ও স্বজনদের চাপ। অতিরিক্ত রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনায় নাগরিকদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। জলা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ঠান্ডাজনিত কারণে বেড়েছে বয়স্ক ও শিশু রোগীর সংখ্যা। গেল কয়েক দিন ধরে জেলা হাসপাতালে ধারণক্ষমতার দিগুণের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। শয্যা সংকট দেখা দেওয়ায় হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী। গেল এক সপ্তাহে প্রায় ২৫০ জন শিশু ভর্তি হয়েছে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে। এদিন দুপুর পর্যন্ত ১শ শয্যার বিপরীতে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ৩৬ জন শিশুসহ মোট ২৩৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন আকলিমা বেগম বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আমার ছেলের জ্বর। ওষুধ খাওয়াইছি কিন্তু কোনো উন্নতি হয়নি। যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। শুধু বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল নয়, বাগেরহাট জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোরও একই অবস্থা। বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সেবিকা সীমা আলো হালদার বলেন, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই শিশু রোগীরা ভর্তি হচ্ছে। অনেক বেশি রোগী হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. হুসাইন সাফায়াত বলেন, আমাদের ২৫০ শয্যার অনুমোদন থাকলেও জনবল রয়েছে ১শ শয্যার। এই অবস্থায় রোগীর চাপ থাকলেও আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, ঠান্ডা জনিত রোগীর প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। ইনডোর ও আউটডোর দুই জায়গাতেই জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়াসহ নানা ধরনের রোগী আসছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৯শ থেকে এক হাজার রোগীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। আসলে স্বল্প সংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে এই সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। হাসপাতালে বিদ্যমান জনবল বাড়লে রোগীদের আরও বেশি সেবা দিতে পারবেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ – ২০২৪, www.chulkati24.com

কারিগরি সহায়তায়ঃ-SB Computers