শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:১৮ পূর্বাহ্ন

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা  উপলক্ষে জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন বাগেরহাট জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক
সংবাদ শিরোনাম :
বাগেরহাটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা ব্যয় কমাতে এবার পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হয়েছে চিটাগুড় রামপালে আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগ বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সমন্বয়কেরা সফল ও জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম’র দায়িত্ব ফিরে পেতে স্থানীয়দের দাবী মাদকের প্রতি আসক্ত তরুণ সমাজকে মাদকমুক্ত করে শিক্ষিত হয়ে স্বাবলম্বী হতে হবে: এম এ সালাম বাগেরহাটে আওয়ামীলীগ সভাপতির অত্যাচার- নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার দাবিতে মানববন্ধন বাগেরহাটে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বিরুদ্ধে দুদুকের মামলা রামপালে  হামলার বিচার দাবীতে  ছাত্রদল নেতার পরিবারের  মানববন্ধন আগামীকাল  এস পি এল’র এলিমিনেটর ও কোয়ালিফায়ার ম্যাচ রামপালে কালেখারবেড়ে মৎস্য ঘেরের খাল কাটায় ব্যাপক ক্ষতি
বাগেরহাটে সাড়ে ২৭ কোটি টাকার আখ উৎপাদন হয় এক উপজেলায়

বাগেরহাটে সাড়ে ২৭ কোটি টাকার আখ উৎপাদন হয় এক উপজেলায়

মোল্লা আব্দুর রব, বাগেরহাট অফিস
বাগেরহাটের কচুয়ায় চিবিয়ে খাওয়া আখের বাম্পার ফলন হয়েছে।ভাল দাম ও আশানুরুপ ফলনে খুশি কৃষকরা।উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে কচুয়ার আখ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।রোগ বালাই কম ও চাষাবাদ পদ্ধতী সহজ হওয়ায় দিন দিন আখের চাষ বাড়ছে এই উপজেলায়। বাগেরহাট কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী কচুয়া উপজেলার গোপালপুর, কচুয়া সদর, রাড়ীপাড়া, বাধালসহ কয়েকটি ইউনিয়নে এবার ৯৩ হেক্টর জমিতে বিএসআরই জাতের আখের চাষ হয়েছে। সরকারি হিসেবের বাইরে কিছু জমিতে স্থানীয় তুরফিন ও গ্যান্ডারি জাতের আখের চাষ রয়েছে। এই উপজেলা থেকে এবছর অন্তত ২৭ কোটি ৫৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকার আখ বিক্রি হবে বলে দাবি কৃষি বিভাগের।ইতোমধ্যে অনেক চাষী তাদের আখ বিক্রিও করেছেন।উপজেলার সব থেকে বেশি আখের চাষ হয় গোপালপুর ইউনিয়নে।গোপালপুর ইউনিয়নেরে দরিচর মালিপটন, কিসমতমালিপটন, ফুলতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় মাঠের পর মাঠ আখের খেত দেখা যায়।কৃষি বিভাগের সহায়তা ও নিজস্ব উদ্যোগে গোপালপুর ইউনিয়নের অন্তত ১ হাজার ৫‘শ চাষী আখ চাষ করেছেন।নিয়মিত খেত পরিদর্শণ পূর্বক এসব চাষীদের পরামর্শ প্রদান করেন কৃষি কর্মকর্তারা। দরিচর মালিপটন এলাকার চাষী তপন কুমার হালদার বলেন,এক একর জমিতে আখ চাষ করেছি। আশাকরি ভালই লাভ হবে। এমদাদুল হক নামের এক চাষী বলেন, নিজের ৮০ শতক জমিতে এবার আখ লাগিয়েছি।সব মিলিয়ে ৬০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।একলক্ষ টাকার আখ বিক্রি করেছি।আরও যে আখ আছে, তাতে আরও দেড় লক্ষ টাকার আখ বিক্রি করতে পারব। আখ চাষের পদ্ধতী,পরিচর্যা ও ব্যয় সম্পর্কে মোঃ শওকত আলী নামের এক চাষী বলেন, ৪০ বছর ধরে আখ চাষ করি।আখ চাষ খুব জটিল কিছু না, অনেক সহজ বিষয়।পূর্ণ বয়স্ক আখের মাথার কিছু অংশ চারা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।সাত থেকে বার ইঞ্চি লম্বা খন্ড করে কাটতে হয়।সেই চারা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে বোক (আখের গিরার কাছ থেকে ছোট চারার মত) বের হয়।বোক বের হওয়া আখের খন্ড ভিজা মাটিতে রেখে দিলে আখের চারা তৈরি হয়।১৫ থেকে এক মাস পর ভিজা মাটি থেকে উঠিয়ে আগে থেকে কুপিয়ে এবং চাষ দিয়ে রাখা ভিটায় (খেতে) লাগাতে হয়। এরপর আস্তে আস্তে গোড়ায় মাটি দেওয়া, আখের পাতা ছাড়ানোসহ নানারকম কাজ রয়েছে।চারা দেওয়া থেকে শুরু করে আখ বিক্রি পর্যন্ত ৮ থেকে ১০ মাস সময় লাগে।প্রতি পিচ আখ ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় খুচরো বাজারে।প্রতি শতক জমিতে আখের চাষ করতে ৭‘শ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়ে থাকে। রোপনের পর প্রথম তিন মাস আখের সাথে অন্যান্য সাথি ফসল যেমন লাল শাক, রসুন, পেয়াজ, মুলা, ডাটা, মরিচ, শসা ইত্যাদী চাষ করা যায়।সাথী ফসল থেকেই আমাদের খরচের টাকা উঠে যায়। আখ বিক্রির টাকাকা আমাদের অন্য কাজে লাগে। আউয়াল শিকদার নামের আরেক চাষী বলেন,এলাকার অনেকেই আখ চাষ করে।আমাদের এখানের আখই পাইকারি ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়। আখ ব্যবসায়ী মোতালেপ মোল্লা বলেন,খুলনা, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় খুচরা বিক্রেতাদের কাছে আমি আখ বিক্রি করি। প্রতি সিজনে অন্তত ৫০ লক্ষ টাকার আখ চাষীদের কাছ থেকে কিনে খুচরো বিক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করি। তবে খেত থেকে আখ কিনতে পারলে লাভ একটু বেশি হয়। গোপালপুর ইউনিয়নে কর্মরত উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা সোহাগ দাস বলেন,গোপালপুর ইউনিয়নেই সব থেকে বেশি চাষী আখ চাষ করেন।আমরা চাষীদের সব ধরণের কারিগরি সহায়তা প্রদান করে থাকি।আখের যেহেতু অপেক্ষাকৃত রোগ বালাইকম সেই কারণে আখে কীটনাশক ও রাসয়নিক সার প্রয়োগের মাত্রাও কম।কখনও প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার বা কীটনাশক ব্যবহার না করে এজন্য চাষীদের নিয়মিত সচেতন করা হয়। কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন,কচুয়ায় অনেক চাষীই আখ চাষ করেন। এবার ৯৩ হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়েছে। আশাকরি চাষীদের ভালই লাভ হবে।আখের সাথে যাতে চাষীরা অন্যান্য সাথী ফসলও চাষ করে সেজন্য চাষীদের নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ – ২০২৪, www.chulkati24.com

কারিগরি সহায়তায়ঃ-SB Computers