বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ অপরাহ্ন
শেখ আনিছুর রহমান,(নিজস্ব প্রতিবেদক): বাগেরহাটঃ মাছে ভাতে বাঙ্গালী এটিই বাঙ্গালী জাতির হাজার বছরের পুরাতন ঐতিহ্য, দেশের খামারে উৎপাদিত চিংড়ী সহ অন্যান্য মাছ রপ্তানি করে প্রতিবছর আসছে বিপুল পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা। বর্তমানে করোনা কালিন সময়ে একদিকে মাছের রেনু পোনা,খাদ্য সহ অন্যান্য উপকরনের মূল্যবৃদ্ধিতে চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অন্যপাশের্ব করোনা কালিন সময়ে তাদের উৎপাদিত মাছের মূল্য কম হওয়ায় তারা পথে বসার উপক্রম হয়েছে। সেই মুহুত্বে মৎস্য খাতকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য শেখ হাসিনার সরকার গ্রহন করেছেন এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তারই অংশ হিসাবে বাগেরহাট সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় করোনা কালীন সময়ে বিশেষ প্রনোদনা পাচ্ছেন ৪হাজার ৪০জন মৎস্য চাষি। সংশ্লিষ্ট মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ১৮হাজার তালিকাভুক্ত মৎস্য চাষি রয়েছেন। এদের মধ্য থেকে করোনা কালিন সময়ে শুধুমাত্র চরম ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের এই প্রনোদনা প্রদান করা হবে। সুত্র বলছে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আওতায়ধীন প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভার জনপ্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের মৎস্য অধিদপ্তরের লিফদের মাধ্যমে এ সমস্ত উপকার ভোগীদের খসড়া তালিকা প্রনায়নের কাজ চলছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের দ্বীতিয় সপ্তাহে উপজেলা সংশ্লিষ্ট উপকারভোগী বাছাই কমিটি এই তালিকা প্রনায়নের কাজ চুড়ান্ত করবেন। সরকার প্রকৃত মৎস্য খামারীদের বাছাই করে এই ভুর্ত্তকির অর্থ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সরাসরি প্রত্যেক চাষি একাউন্টে পাঠানোর জন্য নির্দ্ধেশনা দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ ফেরদাউস আনছারী এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন সরকারী নির্দ্দেশনা মোতাবেক সদর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যদিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের উপকারভোগী বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। যা ইতিমধ্যে শুরু করে তা এখন প্রায় শেষের পথে। এই সরকারী প্রনোদনা চাষিদের হাতে গেলে তারা উপকৃত হবেন বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply