বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন

চুলকাটি অনলাইন টিভি ও নিউজ মিডিয়া, সত্য প্রকাশের অঙ্গীকার। 
সংবাদ শিরোনাম :
মোংলা বন্দরে তিন নম্বর সংকেত, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় জনজীবন বিপর্যস্ত রামপালে ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীসহ গ্রেফতার -৪  নতুনধারার রাজনৈতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে দৈনিক আমাদের সময়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এলো ৩৪২০০ মেট্রিক টন কয়লা মোংলা বন্দরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে রাশিয়ান জাহাজ রামপালে নিরীহদের ফাঁসাতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যাক্তির মামলা দায়েরের অভিযোগ সাংবাদিককে পেটালেন পৌর কাউন্সিলরও শ্রমিক লীগ নেতা সুন্দরবনে বাঘের পেটে জেলের পুরো দেহ, পাওয়া গেল মাথা ও রক্তাক্ত প্যান্ট রামপালে জমির দখল পেতে যুবকের সংবাদ সম্মেলন
বাগেরহাটে ভেসে গেছে জেলার ৫ হাজার চিংড়ি ঘের,শত কোটি টাকার ক্ষতি

বাগেরহাটে ভেসে গেছে জেলার ৫ হাজার চিংড়ি ঘের,শত কোটি টাকার ক্ষতি

মোল্লা আব্দুর রব, (বাগেরহাট) :  বাগেরহাট ঘূর্ণিঝড় আম্পানের চেয়ে জোয়ারের পানিতে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাগেরহাটের চিংড়ি চাষিদের।গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে জেলার ৫ হাজার চিংড়ি ঘের। এর ফলে শত কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেক চাষি। টাকার অংক ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানাতে না পারলও চাষিদের ক্ষতি পোষাতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের প্রয়োজন মনে করছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক। বাগেরহাট জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, অতিবষ্টি ও ভরা মৌসুম জোয়োরের পানি কয়েক ফুট বড় লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।এর ফলে জেলার বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, রামপাল, মোংলা, চিতলমারী এই ৬ উপজেলার প্রায় ৫ হাজার মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছ। এতে চাষিদের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তবে এর মধ্যে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মোংলা ও মোরেলগঞ্জের চাষিরা। মোংলায় এক হাজার ৭৬৫ এবং মোরেলগঞ্জ ২ হাজার ২৬৫ ঘের ডুবেছে জোয়ারের পানিতে। সরকারি হিসেবে আম্পানের আঘাত বাগেরহাট জেলায় চার হাজার ৬৩৫টি মৎস্য ঘের তলিয়ে চাষিদের দুই কোটি ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছিলো। এসময়ও চাষিরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি দাবি করছিলেন।জোয়ারের পানিতে এত বেশি ক্ষতি হবে এটা কখনও চিন্তা করতে পারেননি চিংড়ি চাষিরা। রামপাল উপজেলার কাজী কামরুল ইসলাম বলেন, আম্পান ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের চার ভাইয়ের প্রায় ৫০০ বিঘার ঘেরে দুই কোটি টাকার উপর ক্ষতি হয়। পর ধার দেনা করে আবারও চাষ শুরু করি। গত ১৫ দিন ধরে মাছ বিক্রি শুরু করছি। এর মধ্যেই জোয়োরর পানিতে ভেসে গেছে ঘরের কয়েক কোটি টাকার মাছ। এই পানি কমার পর আসলে কি পরিমাণ মাছ ঘেরে থাকবে আল্লাহ ভাল জানেন। এবার যদি ভাল দামে অনেক মাছ বিক্রি করতে পারতাম তাহলে আম্পানর ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব ছিল। সব শেষ হয়ে গেলে। বাগেরহাট জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম সুমন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর আমরা ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিলাম। যখনই চাষিরা মাছ বিক্রি শুরু করলো তখন জোয়ারের পানিতে ঘেরগুলা তলিয়ে মাছগুলো ভেসে গেল। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে আমাদের চাষিদের শত কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক বলেন, জোয়ারের পানিতে বাগেরহাটের ছয়টি উপজেলার প্রায় ৫ হাজার মৎস্য ঘের ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে। টাকার অংক চাষিদের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়টি নিরুপণ করতে মাঠ পর্যায় কাজ শুরু করেছি আমরা। বাগেরহাট জেলায় প্রায় ৬৭ হাজার হেক্টর জমিতে সাড়ে ৭৮ হাজার বাগদা ও গলদা চিংড়ির ঘের চিংড়ি চাষ হয়েছে। গত অর্থ বছর সাড়ে ১৬ হাজার মেট্রিক টন বাগদা ও সাড়ে ১৫ হাজার মেট্রিক টন গলদা চিংড়ি উৎপাদন হয়েছিল বাগেরহাট জেলায়।

 

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০২০২১, www.chulkati24.com

কারিগরি সহায়তায়ঃ-SB Computers