শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা  উপলক্ষে জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন বাগেরহাট জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক
সংবাদ শিরোনাম :
চুলকাটিতে বিশাল গরু ছাগলের হাটের শুভ উদ্বোধন  চুলকাটি বাজার রেলস্টেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় মোল্লাহাটে টিসিবির ৫৪০ লিটার সয়াবিন তেলসহ আটক ১ মোল্লাহাটে শিশু যত্ন কেন্দ্রের কেয়ার কিপারদের ৭ দিন ব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে পরিবেশ বান্ধব চারা বিতরণ জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের বাগেরহাট জেলা-কমিটি অনুমোদন নয়ন স্মৃতি নাইট শর্ট ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সৈয়দপুর চ্যাম্পিয়ন আত্মসমর্পণকারী দস্যুরা পেল র‌্যাবের ঈদ উপহার বাগেরহাটে দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন শেখ তন্ময় এমপি বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির দাবিতে মোংলায় মানববন্ধন
সহকর্মী হত্যায় রামু ক্যান্টনমেন্টে ভয়াবহ উত্তেজনা!

সহকর্মী হত্যায় রামু ক্যান্টনমেন্টে ভয়াবহ উত্তেজনা!

চুলকাঠি অফিস : টেকনাফ পুলিশ কতৃক মেজর (অব.) সিনহা রাশেদকে হত্যার পরে কক্সবাজরের রামুতে অবস্থিত ১০ম পদাতিক ডিভিশনে প্রচন্ড সেনা বিদ্রোহ দেখা দেয়। উল্লেখ্য, নিহত মেজর রাশেদ এই ডিভিশনের ব্রিগেড মেজর ছিলেন। ফলে এই ডিভিশনের সেনা অফিসাররা এমনকি সৈনিকরাও এতটাই উত্তেজিত হয়ে পড়ে যে, ৪ আগস্ট মঙ্গলবার ৪০/৪৫ জন সেনা অফিসার (মেজর, লে. কর্নেল, কর্নেল) ভারী অস্ত্র এবং যানবাহনে সজ্জিত হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে পড়ার প্রস্ততি নিতে থাকে- উদ্দেশ্য মেজর রাশেদের খুনী দারোগা লিয়াকত, ওসি প্রদীপ, এসপি মাসুদ, এবং আরও যে কয়টা জড়িত, সবগুলোকে তুলে এনে ক্যান্টমেন্টে বন্দী করা। অতঃপর তারা নিজেরাই বিচার করবে।

দ্রুতই এই খবর পৌছে যায় ১০ম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরীর কানে। তিনি ছুটে এসে অফিসারদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু অফিসাররা অনড়। শেষে ১২ ঘন্টার সময় চেয়ে নেন। এর মধ্যে খবরটি সেনাপ্রধান হয়ে মিডনাইট প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌছায়। তিনি মারাত্মক টেনশনে পড়ে যান। সেনাপ্রধান আজিজ এবং আইজিপি বেনজিরকে নির্দেশ দেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে কক্সবাজারে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে, এবং যা ব্যবস্থা নেয়ার নিতে। পরদিন সকালেই সেনাপ্রধান রামু সেনানিবাসে পৌছান, অফিসারদের সাথে কথা বলেন, সর্বোচ্চ বিচারের আশ্বাস সেন, তার ওপর আস্থা রাখতে বলেন। অতঃপর আইজিপিকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান, যৌথ প্রেস কন্ফারেন্স করেন, মামলা হয়, আসামীরা এরেস্ট/সারেন্ডার হয়, রিমান্ড মঞ্জুর হয়। কিন্তু পরিস্থিতি উত্তপ্তই থাকে। আইএসপিআর থেকে বলা হয়, পুলিশের নির্মমতার এটাই শেষ ঘটনা, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনা-পুলিশ যৌথ টহল হবে।

রামু সেনানিবাসে বিদ্রোহের খবর অন্যান্য ক্যান্টনমেন্টে পৌছালে প্রতিটায় সেনা ও অফিসারদের মধ্যে উত্তজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়ভাবে প্রতিটায় দরবার অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে ট্রুপরা মেজর রাশেদ হত্যার বিচার নিয়ে পয়েন্ট দিতে থাকে। সৈনিক থেকে অফিসার সবার এক কথা- মেজর রাশেদ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক চরম শাস্তি না হলে সেনাবাহিনী নিজেরাই ব্যবস্থা নিবে। প্রতিটি এরিয়া থেকে অফিসার ও জওয়ানদের মনোভাব এবং অবস্খা সেনাপ্রধানকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

এখন পরবর্তী ৭দিন দেখার পালা- কি হয়। এরি মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে সিনিয়র মন্ত্রী ওবা কাদের অবশ্য ফোড়ন কেটেছেন, মেজর রাশেদ হত্যাকে পুঁজি করে সরকার পতনের চেষ্টা করছে কেউ কেউ! কিন্তু এ হত্যার উপযুক্ত বিচার না হলে সেনাদের বিচার যে কোথায় গিয়ে দাড়াবে, তা বোধ হয় তারা কেনো, কেউই জানে না!

 

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

  1. © স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০২০২১, www.chulkati24.com

কারিগরি সহায়তায়ঃ-SB Computers