বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩২ অপরাহ্ন
চুলকাঠি ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীসহ প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় সর্বোচ্চ সর্তকতা ও নিরাপত্তা জোরদার করেছেন বন বিভাগ। এছাড়া সুন্দরবনের সব কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের কর্মস্থল ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও সার্বক্ষণিক টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার (২৭ জুলাই) বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সুন্দরবনে সকল ধরণের জন সাধারণ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কিছু মানুষ সুন্দরবনে প্রবেশ করে অপরাধ কর্মকাণ্ড করার চেষ্টা করে থাকে। ঈদ উপলক্ষে মৌসুমি হরিণ শিকারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। এসব অপরাধী ও মৌসুমি শিকারিদের সামাল দিতে সুন্দরবনে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থল ত্যাগ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘১৮৭৫ সাল থেকে সংরক্ষিত’ সুন্দরবনের আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা (ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড) সংরক্ষিত সুন্দরবন প্রাণ-প্রকৃতির আধার। বাংলাদেশের সমগ্র বনাঞ্চলের অর্ধেকের বেশী হচ্ছে সুন্দরবন। সুন্দরবনে বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল ও মায়াবী হরিণ, কিং-কোবরা, বানর, গুইসাপসহ প্রায় ১০০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী ও সরিসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচরসহ ৩২০ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বসবাস। সুন্দরী, পশুর, গেওয়া, গরান, ধুন্দল, গোলপাতাসহ ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে এ বনে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নদী ও খালে রয়েছে বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ইরাবতীসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন, লবণ পানির কুমির রূপালী ইলিশ, চিংড়ী, রূপচাঁদা, কোরালসহ ৪০০ প্রজাতির মাছ।
Leave a Reply