শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন
চুলকাঠি ডেস্ক :নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জুরুরী ভিত্তিতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য নিরালস ভাবে কাজ করে চলছে ঠিক তখন সুযোগের সদৎ ব্যবহার করে বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাঠি এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যাবসায়ী দেদাচ্ছে বিক্রি করছে সকল প্রকার নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য।আর অবাধে মাদক বিক্রির প্রভাবে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ,চুুুুুুলকাঠি এলাকাতে গত তিন মাসে দোকান,বসত বাড়ি সহ প্রায় অর্ধশত স্থানে চুরি হয়েছে বলে ধরণা স্থানীয় সচেতন মহলের।গত ইংরেজী বছরের শেষ চার মাস চুলকাঠি এলাকায় সর্বত্র মাদক ব্যাবসায়ী দের দৌরাত্ত বৃদ্ধি পেয়ে ছিল তখন চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে প্রথম সপ্তাহে“চুলকাটিতে ৪ সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর আইন শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর তৎপরতায় চুলকাঠি বাজার এলাকা থেকে ২০ জানুয়ারী জেলা ডিবি পুলিশ গাজা সহ মাদক সম্রাট রাজুকে আটক করেন তার সপ্তাহ খানেক পর চুলকাঠি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর সামনে থেকে ১১৩ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ কুখ্যাত ইয়াবা সম্রাট শফিক ও তার এক সহযোগী জাবেদ কে আটক করে র্যাব-৬ এর মেজর মোঃ আনিস-উজ-জামান এবং এএসপি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এর নেতৃত্বে (স্পেশাল কোম্পানী) খুলনা এর নেতৃত্ব একটি দল তার সপ্তাহ খানেক পর দক্ষিণ খানপুর এলাকা থেকে ৫০০ গ্রাম গাজা সহ অপর এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেন চুলকাঠি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর এস আই মোঃ জাকারিয়া । যার প্রত্যেক ঘটনাই মডেল থানায় পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। কিন্তু ঠিক সে সময় ভয়াল থাবা বসায় নোভেল করোনা ভাইরাস যার প্রভাবে মাদক বিরোধী অভিযান থেকে অনেকটা সরে এসে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যস্ত হয়ে পড়েন জুরুরী ভিত্তিতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ।সরেজমিনে অনুসন্ধ্যান করে জানাগেছে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চুলকাঠি এলাকায় বর্তমানে গড়ে উঠেছে একাধিক মাদক ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট। উপজেলার চুলকাঠি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আওতাধীন দক্ষিণ খানপুর গ্রামের হাওলাদার বাড়ি এলাকায় জৈনক এক চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী স্থানীয় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের এক অসাধু নেতা আশ্রায়ে গড়ে তুলেছেন এক ভয়াবাহ মাদক সিন্ডিকেট। এই চক্র দেদারচ্ছে বিক্রি করছে ইয়াবা ও গাজাঁ সন্ধ্যা হলেই ওই এলাকায় ভিড়পড়ে স্থানীয় ও বহিরাগত চিহ্নিত মাদকসেবীদের। তবে হয়রানীর ভয়ে স্থানীকেউ মুখ খোলে না বলে নাম প্রকাশ্যে অনইচ্ছুক একাধিক লোকজন বলেন।অপর দিকে সি এন্ডবি বাজার এলাকায় জৈনক এক হোমিও চিকিৎসক দেরাচ্ছে বিক্রি করছে রেক্টিফাইড স্পীড তার প্রায় ডজন খানেক সাগরেত দিয়েই চালাচ্ছে এই অবৈধ মাদক ব্যবসা প্রতি ১০০মি.লি( আর, এস ) বিক্রি করছে ৩০০-৪৫০ টাকা বোতল। তাছাড়া একই এলাকায় বন্ধন টাওয়ার এর পার্শ্বে দুই চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী অবাদে বিক্রি করছে ইয়াবা, ফেনছিডিল ও গাজাঁ।খোদ চুলকাঠি বনিক পাড়া টু কুন্ডুপাড়া রাস্তায় বিকাল হলেই দেখা মিলছে অপরিচিত মটরসাইকেল,মাহেন্দ্রা, বাই সাইকেল রাস্তার মঠ এলাকায় গিয়ে একটু দাড়ায় তার পর ওই এলাকার চিহ্নিত কোন মাদক ব্যাবসায়ী এসে মোবাইলে পূর্বে যোগাযোগ কৃত ব্যক্তিকেই কেবল দিয়ে থাকেন মাদক । স্থানীয় চিহ্নিত দুই মাদক ব্যবসায়ী পৃথক পৃথক ভাবে মাদক ব্যাবসা চালাচ্ছে বলে অনুসন্ধ্যানে উঠে এসেছে।অপর দিকে চুলকাঠি বাজার থেকে ভট্র আবাসন পযন্ত নির্মানাধীন রেল রাস্তার সর্বত্র সক্রিয় মাদক ক্রয়বিক্রয়ে একাধিক চক্র ,চুলকাঠি বাজার এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রেল রস্তায় ঘুরা ঘুরি করে মাদক বিক্রি করছে আর রামপাল এলাকার এক নতুন মাদক ব্যবসায়ী চুলকাঠিতে ভাড়া বাসায় অবস্থান করে ভট্র-আবাসন এলেকায় গড়েতুলেছে এক ভয়াবাহ ইয়াবা,বিদেশী মদের সাম্রাজ্য। বর্তমানে মাদকের এই ভয়াল থাবায় ক্রমর্স্ব জড়িয়ে পড়ছে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে নানা শ্রেনী পেশার লোকজন, এই এলাকায় মাদক বিরোদী সাড়াশী অভিযানের জোর দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল। এব্যাপরে জানতে চাওয়া হলে বাগেরহাট মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ বলু শেখ বলেন চুলকাঠি এলাক থেকে আমরা ইতিপূর্বে একাধিক মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করেছি, চুলকাঠি এলাকায় দ্রুত আবারো মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হবে।
Leave a Reply