মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১১ পূর্বাহ্ন
দর্পণ ডেস্ক : মুসলিমদের সর্ববৃহৎ জমায়েত হজ্বের আর ৫০ দিনের মতো বাকি থাকলেও এ বছর তা হবে কি না, এ বিষয়ে এখনো সৌদি আরব কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, হজ্ব নিয়ে সৌদি সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। আমরা সৌদি সরকারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। কোনো খবর এলে আমরাই জানতে পারব।
গত সোমবার গণমাধ্যমে এক খবর প্রকাশ হয় যে, এ বছর প্রতিটি দেশ থেকে কোটার ২০ শতাংশ লোক নিয়ে হজ্ব হবে। এ বিষয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ নিউজের কোনো সত্যতা নেই। মনগড়া নিউজ হলে তো হবে না। সৌদি সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
হজ্বের আর আছে মাত্র ৫০ দিন।হজ্ব হতে হলে একটি যৌক্তিক সময় দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেখুন, এবারে হজ হবে কি হবে না এটি সৌদি সরকারে সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। যদি হয় তাহলে নিশ্চয়ই একটি যৌক্তিক সময় দিয়েই তারা ঘোষণা দেবে।
তিনি আরো জানান, আয়োজক দেশ হিসেবে সৌদি আরব সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
আমরা যেকোনো সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তুত উল্লেখ করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজ্ব যাত্রীদের নিবন্ধকরণ প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ সংক্ষিপ্ত নোটিশে হাজিদের পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে।
এবার করোনা পরিস্থিতি ও সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত এখনো না পাওয়ার কারণে নিবন্ধিত হজযাত্রীর সংখ্যা অনেক কম হয়েছে বলেও জানান শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
প্রতিমন্ত্রী জানান, মহামারিজনিত কারণে সৌদি আরব যদি এ বছর হজ্ব জামাত আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে নিবন্ধিত প্রার্থীরা পরের বছর অগ্রাধিকার পাবেন।
আবদুল্লাহ বলেন, যারা ইতোমধ্যে হজের জন্য অর্থ জমা দিয়েছেন, তাদের চিন্তার দরকার নেই। আপনি পরের বছর অগ্রাধিকার পাবেন। আগামীবার না যেতে চাইলে টাকা ফেরত পাবেন। এ বিষয়ে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি।
হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, রয়টার্স তাদের ধারণা থেকে একটি নিউজ করেছে। সৌদি এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
সৌদি সরকার যখনই সিদ্ধান্ত নেবে, তখনই লোক পাঠানো যাবে।সৌদি যেভাবে চাইবে সেভাবেই হজ্ব হবে। সবকিছু সৌদির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে বাংলাদেশের জন্য হজ্বের কোটা এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আছেন ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার জন।
করোনার কারণে এ বছর নিবন্ধিত ৬৪ হাজার ৫৯৪ জনের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৪৫৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬১ হাজার ৫৯৪ জন রয়েছেন।
ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রিসভা হজ প্যাকেজ-২০২০ এর খসড়া অনুমোদন করে। যেখানে সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্যাকেজ-৩ এর আওতায় একজন হজ্বযাত্রীর ন্যূনতম ব্যয় তিন লাখ ১৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।
গত মার্চে সৌদি আরব বাংলাদেশকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হজ্ব সম্পর্কিত কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য একটি নির্দেশনা জারি করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধকরণ প্রক্রিয়া চালিয়ে যায়।
Leave a Reply