শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
আসাদুজ্জামান শেখ, নিজস্ব প্রতিবেদক
বাগেরহাটের চুলকাটিসহ সারা দেশে তীব্র শীতে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে দিনমজুর এবং নিম্নআয়ের মানুষ। বিশেষ করে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপচর এলাকায় সবচেয়ে বেশি শীতের প্রভাব পড়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। কয়েকটি জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে।
রবিবার বেলা দুইটা পর্যন্ত আকাশে মেঘ আর ঘন কুয়াশায় দেখা নেই সূর্যের। উত্তরের হিমেল বাতাসে অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত।কথা হলো বাগেরহাট সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের অটো চালক হাসান তীব্র শীতের কারণে চালাতে পারছেন না গাড়ি। এই তীব্র শীতে গাড়ি চালাতে গিয়ে অসুস্থ হওয়ার আশংকা তার, এদিকে ঘরের চালও শেষ। সংসারের টানে ভোর থেকে অটো ভ্যান নিয়ে বেড়িয়েছেন । এসময় তার গায়ে পলিথিন পরিধাণ করে শীত বা কুয়াশা থেকে রক্ষা পেতে এবেশ ধারণ করেছেন । নদীতে ঝাল ফেলে মাছ ধরে সংসার চলে জেলে সুমনের। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় যেতেhttps://www.youtube.com/@Shobhanhossain38
পারছেনা ঝাল নৌকা নিয়ে নদীতে,পুঁজিটুকু শেষ হচ্ছে দিন দিন।
টানা কয়েক দিনের কনকনে শীতে গ্রাম অঞ্চল গুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলার হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। শীতের এ সময়টাতে বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি যত্ন নিতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের যেন কোনোভাবেই ঠান্ডা না লাগে, সে বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। বাসি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে এবং গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্টক, ডায়রিয়া, নিমুনিয়া, এজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের রোগী বেড়ে গেছে, এবং ঠান্ডা জনিত রোগী বর্তমানে উপজেলা হাসপাতালে অনেক বেশি।
Leave a Reply