শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন
মেহেদী হাসান(রামপাল) বাগেরহাট
মো. আব্বাস আলী শেখ। বয়েস ২৫ বছর। উচ্চতা ৩ ফুট ২ ইঞ্চি। তার বাড়ী রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের স্বর্ণার মাঠ। সে রামপাল সরকারি কলেজের ডিগ্রি ১ম বর্ষের ছাত্র। শারীরিক গঠনে খর্বাকৃতির হলেও লেখা পড়ায় বাঁধা হয়নি তার। শ্রীফলতলা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে কৃতিত্বের সাথে উত্তির্ন হয় সে। এরপর রামপাল সরকারি ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়ে এইসএসসি পাস করে। একই কলেজে ডিগ্রি ১ম বর্ষে ভর্তি হয়।
দরিদ্র ভ্যান চালক পিতা মোক্তার শেখ সামান্য একখন্ড জমিতে বসবাস করেন। ছেলেকে খুব কষ্ট করে লেখা পড়া শিখিয়েছেন। তার বাড়ীর সবার সখ আব্বাসকে তার মত একজন পাত্রীর সাথে বিয়ে দিবেন। আব্বাস ও বিয়ে করতে আগ্রহী হয়। এরপর পাত্রী দেখা শুরু হয়। এক পর্যায়ে খুলনার ডাকবাংলো এলাকায় তারই অনুরূপ পাত্রীর সন্ধান পাওয়া যায়। কথা শুরু হয় দুই পরিবারের সাথে। এক পর্যায়ে তাঁদের রেজিষ্ট্রি কাবিনে বিবাহ হয়। সপ্তাহব্যাপী বিয়ে বাড়িতে গ্রামবাসী বাদ্য বাজনা বাজিয়ে ধুমধামের মধ্যে শুক্রবার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে কনের বাড়িতে যায় বৌ সোনিয়াকে আনতে।
তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ এস, এম আশরাফুল আলম, প্রেসক্লাব রামপালের সভাপতি এম, এ সবুর রানা, সাংবাদিক সরদার মুহিদুল ইসলাম, শেখ আব্দুল্লাহ সহ অনেকেই।
গ্রামবাসী তার বিবাহ উত্তর বৌভাতের আয়োজন করবেন বলে জানা গেছে। নবদম্পতি আব্বাস-সোনিয়ার জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন তার পরিবার। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন আব্বাস সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এবং উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি’র সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন একটি চাকুরির জন্য। সে একটি সরকারী চাকরি পেলে সেখানেও মেধার স্বাক্ষর রাখতে চায় আব্বাস।#
Leave a Reply