বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার, মোংলা
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য রাশিয়া থেকে আনা মেশিনারিজ মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে নঙ্গর করেছে “এমভি লিবার্টি হারভেস্ট নামের বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ। রোববার বিকালে রাশিয়ান পন্য বোঝাই করে জাহাজটি বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে এসে পৌছায়।এর আগে গত ৩ মে রাশিয়ার একটি বন্দর থেকে সরাসরি মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে রূপপুরের পণ্যবাহী জাহাজ লিবার্টি হারভেস্ট।
মোংলা বন্দর সুত্রে ও পন্যবাহী জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এইচ এস আর ওসান ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক (মোংলা) বিপ্লব খান জানান, রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দর থেকে গত ৩ মে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন মেশিনারি যন্ত্রাংশ পণ্য নিয়ে সরাসরী মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ “এমভি লিবার্টি হারভেস্ট”। এরপর এ জাহাজটি (২ জুলাই) বিকালে মোংলা সমুদ্র বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে এসে নঙ্গর করে। পন্য বোঝাই জাহাজটিতে রুপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আনা ৯৭৫ টি প্যাকেজে এক হাজার ১শ ৩৭ দশমিক ৪৪৯ মেট্রিক টন মেশিনারি পণ্য রয়েছে। জাহাজটি থেকে এ সকল মেশিনারিজ পণ্য বিকালের পালা থেকে খালাসের কাজ শুরু হবে বলে বন্দর ও শিপিং এজেন্ট কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়। জাহাজ থেকে খালাস করা পণ্য প্রথমে বন্দর জেটির পৃথক সেডে ডাম্পিং করে রাখা হবে। জাহাজটির সকল পণ্য খালাসে সময় লাগবে মাক্র ২/৩ দিন। এরপর জেটির সেডে ডাম্পিং করা এ পণ্য সড়ক পথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নেওয়া হবে।
এর আগে গত ২৯ মে রাশিয়া থেকে সরাসরি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছিল এমভি আনকা স্কাই। এব্য গত ৬ মে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে রাশিয়া থেকে সরাসরি মোংলা বন্দরে এসেছিল বিদেশি জাহাজ এমভি আনকা সান।
এছাড়া গত ২৫ এপ্রিল রাশিয়া থেকে রূপপুরের মেশিনারিজ যন্ত্রাংশের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে এসেছিল এমভি ইয়ামাল অরলান। আর ইয়ামাল অরলানের আগে এসেছিল এমভি ড্রাগনবল ও এমভি কামিল্লা। রূপপুরের পণ্য পরিবহনে বিশ্বর ৭টি বানিজ্যিক জাহাজের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা জাহাজগুলো রাশিয়া থেকে পণ্য নিয়ে ভারত ট্রানজিট হয়ে আসতো মোংলা বন্দরে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার বাহিরে থাকা অন্য বিদেশী জাহাজগুলো রাশিয়া থেকে পন্য নিয়ে সরাসরী মোংলা বন্দরে আসছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, আগের তুলনায় মোংলা বন্দরের স্বক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকার ব্যাবসায়ীরা এখন মোংলা বন্দর ব্যাবহারে আগ্রহী হয়েছে, এরই মধ্যে তারা এ বন্দর ব্যাবহার করা শুরুও করছে। ফলে আমদানী-রপ্তানী পন্য এখান থেকে বোঝাই-খালাস কাজ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া মোংলা বন্দর ব্যাবহার করা ব্যাবসায়ীদেন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে ইতো মধ্যে বন্দরের সকল সরঞ্জাম ও ইকুম্পেন্ট সংগ্রহ সম্পন্ন করা হয়েছে, যাতে ব্যাবসায়ী আমদানী-রপ্তানীকৃত পন্য সল্প সময় খালাস ও বোঝাই করে দেশ-বিদেশে তাদের ব্যাবসার প্রসার আরো বৃদ্ধি করতে পারে। তাই রুপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ দেশের বড় বড় মেঘা প্রকল্পে পন্য এখান মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হচ্ছে।
Leave a Reply