মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০১:১২ পূর্বাহ্ন
বাগেরহাট অফিস
আদালতে মামলা চলমান থাকা স্বত্বেও নালিশী জমিতে লাল ফ্লাগ দিয়ে দখল বুঝিয়ে দেওয়ায় বাগেরহাট সদর উপজেলা সহকারি কশিনার (ভূমি), ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা শেখ নজরুল ইসলামসহ তিন জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত। গত বুধবার (১৬ নভেম্বর) বাগেরহাট সদর সিনিয়র সহকারি জজ আদালতের বিচারকে ড. মোঃ আতিকুস সামাদ এই আদেশ প্রদান করেন। গেল ৯ নভেম্বর বাগেরহাট শহরের গোবরদিয়া এলাকার আনোয়ার হোসেন খান এর করা নিষেদ্ধাজ্ঞা মামলার প্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।
আদাশে বলা হয়, নোটিশ প্রাপ্তি ও ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল বাগেরহাটে মামলা চলমান থাকা স্বত্বেও বাগেরহাট সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কেন মোঃ হারুন-অর-রশিদকে নালিশী জমিতে লাল ফ্লাগ পুতে দখল বুঝিয়ে দিয়েছে। এজন্য হারুণ-অর-রশিদ ও বাগেরহাট সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি মোঃ শেখ নজরুল ইসলামকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণ ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দেওয়া হল। সেই সাথে বাগেরহাট সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ ইসলামকে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হল।
নিষেধাজ্ঞা মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন খানের আইনজীবী এ্যাড: সাইফুল ইসলাম বলেন, আনোয়ার হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক হারুণ-অর-রশিদ ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলামকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছিল আদালত। আদালতের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব না দিয়ে সদর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বিবাদী লালফ্লাগ টাঙিয়ে মোঃ হারুন অর রশিদকে জমির দখল বুঝিয়ে দেন। বিষয়টি আদালতকে অবগত করা হলে বিচারক মামলার বিবাদী হারুন-অর-রশিদ, বাগেরহাট সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা শেখ নজরুল ইসলামকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান এবং সদর সহকারী কমিশনার ভূমি সৈয়দ মুরাদ ইসলামকে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেছেন। আশাকরি আমরা ন্যায় বিচার পাব।
মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন খান বলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার গোবরদিয়া মৌজায় আমার ৮শতক জমি রয়েছে। এই জমির মালিকানার স্বপক্ষের আমার এসএ রেকর্ড, বিআরএস রেকর্ড ও দলিল রয়েছে।কিন্তু বিআরএস ম্যাপে আট শতক জমির স্থলে ৬ শতক জমি দেখানো হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে বাগেরহাট ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে আমি মামলা করেছি।মামলাটি চলমান রয়েছে। আশাকরি আমরা ন্যায় বিচার পাব।
আদালতের নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বাগেরহাট সদর উপজেলা সহকারি কশিনার (ভূমি)সৈয়দ মুরাদ ইসলাম।
Leave a Reply