শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
বাগেরহাট অফিস
বাগেরহাটে সন্ত্রাসীদের গুলিতে জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক জেলা ছাত্র দলের সাধারন সম্পাদক নূরে আলম তানু ভ’ইয়া ঘটনা স্থলে নিহত হয়েছে। পরিকল্পিত ভাবে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শুক্রবার (১১নভেম্বর) রাত নয়টার দিকে বাড়ির অদূরে বাসাবাটি এলাকার বগা ক্লিনিকের চার রাস্তা মোড়ে ৪ থেকে ৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহতের স্বজনদের দাবী এলাকার আধিপত্য বিস্তারে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে তাকে হত্যাকরেছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা । নিহত নূরে আলম তানু ভ’ইয়া বাসাবাটি এলাকার নিহত আব্দুর রউফ ভ’ইয়ার ছেলে । শনিবার (১২নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে নিজ বাড়ি ও শহরের পুরাতন বাজার মোড়ে দুই দফা জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয় । পরে শহরের সরুই সরকারি গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। দলীয় নেতা খুনের ঘটনায় ৪দিনের কর্মসূচী ঘোষনা করেছে জেলা বিএনপি। সোমবার কালোব্যাচ ধারন, মঙ্গলবার জেলা সদরে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন, বুধবার জেলা উপজেলায় সেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন ও বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপি কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল পালন করবে।
দলীয় নেতা খুনের প্রতিবাদে কেন্দ্রয়ি বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম ও খারুজ্জামান শিপনের নেতৃত্বে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এসময় বিএনপি নেতারা খুনের জন্য সরাসরি সরকার দলিয় আশ্রীত সন্ত্রাসীদের দায়িকরে বলেন এই সরকারের চলমান দু:শাসনের বিরুদ্ধে যাতে জোরদার ভূমিকা না রাখতে পারে এবং নেতা কর্মীদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার জন্য পরিকল্পিত ভাবে যোগ্য ত্যাগী সাহসী নেতা কর্মীদের বেছে বেছে তারা খুন করছে । এই সরকার খুনিদের বিচার করবেনা। আমরা ক্ষমতায় গেলে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তানু হত্যাসহ সারা দেশের নেতা কর্মীদের খুনের বিচার করবো । পরে বাগেরহাটে স্বেচ্ছা সেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্র দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক তানুর জানাজায় অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ মো: শামিমুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল ইসলাম মনা, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ কামরুল ইসলাম গোরা, সদস্য সচিব মোজ্জাফ্ফর রহমান আলম, জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, যুবদলের সাধারন সম্পাদক মো: সুজন মোল্লা, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম শান্তসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। ঘটনার একদিন পারহয়ে গেলেও খুনের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি ।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়াসেলের কর্মকর্তা এস এম আশরাফুল আলম জানায় রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে তানু ভ’ইয়া তার বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হলে ফরিদ সহ ৪/৫ জন দূবৃত্ত তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে যেয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহত তানু ভ’ইয়ার নামে থানায় ১১ টি মামলা রয়েছে ও তানুকে গুলিকারি ফরিদের নামে হত্যা মামলাসহ ৫টি মামলা রযেছে ।
এবিষয়ে নিহত তানুর স্ত্রীর কানিজ ফাতেমা বলেন বাসাবাটি Ñ নাগেরবাজার এলাকায় তানু জনপ্রিয় হওয়ায় তার প্রতিপক্ষ শাষকদলের একনেতা যিনি সন্ত্রাসীদের গড ফাদার একাধিক হত্যার নায়ক তার নির্দেশে খুনি ফরিদ, আল আমীন, মনি, সিরাজুল অস্ত্রধারীরা আমার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমি খুনিদের বিচার চাই ।
Leave a Reply