রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাগেরহাটের সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রনজিৎপুর গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত যৌখালীনদী হতে অবৈধ ভাবে স্যালো-ইঞ্জিন দিয়ে ধারাবহিক ভাবে দিনে-রাতে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। ভাঙ্গনের কবলে রনজিৎপুর আশ্রায়নের বেশ কয়েকটি সরকারী ব্যারাক ও বিপুল পরিমানের চাষাবাদের জমি। তবে এব্যাপারে প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করছে। সদর উপজেলার রনজিৎপুর গ্রামে টাটেরহাট ব্রীজ হতে ১০০ গজ পূর্ব দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের এই মহোৎসব চলছে।
সরেজমিনে, স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী ও কুচক্রি মহল দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন স্থানীয় এক নেতার ছত্রছায়ায় একই দলের সহযোগী সংগঠনের রনজিৎপুর গ্রামের। দীর্ঘদিন ধরে যৌখালী নদীতে টাটেরহাট ব্রীজ হতে পোলেরহাট ব্রীজ পর্যন্ত অবৈধ ভাবে বালু তুলছে। বালু বিক্রেতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। যার ফলে হুমকির মুখে রনজিৎপুর আশ্রায়ন প্রকল্প,উত্তর খানপুর আশ্রায়ন প্রকল্প, চুড়ামনি আশ্রায়ন প্রকল্পসহ প্রায় এক হাজার হেক্টর চাষাবাদের জমি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধীক বাসিন্দা জানান, প্রতি বর্গফুট বালু স্থান ভেদে ৮-১০ টাকা দরে বিক্রি করছে চক্রটি। এ পর্যন্ত কয়েক লাখ বর্গফুট বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেছে। এই চক্রে রয়েছে একাধীক প্রভাবশালী ব্যক্তি যার কারনে ভয়ে মুখ খোলেনা স্থানীয়রা। তারা আরো বলেন, কখনও যদি কেউ উপজেলা প্রশাসনকে জানান, তবে উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে বালু উত্তোলন বন্দ করে দেয়। কিছু দিন যেতে না যেতে আবার পূর্বের রূপে ফিরে আসে। স্থানীয়রা বলেন, এ পর্যন্ত কোন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।
টাটেরহাট এলাকার ওই স্যালো-ইঞ্জিন চালিত ড্রেজার চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, সে দিনে ৬০০ টাকা বেতনে কাজ করে, আত্ম-ঘাতি ড্রেজার মালিক রনজিৎপুর গ্রামের মো.মজিদের পুত্র হাকিম, সে আরো জানায়, বেশকিছু দিন ধরে এই নদী হতে তারা বালু উঠিয়ে বিভিন্ন মানুষের বাড়ি,বাগানসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে।
দীর্ঘদিন ধরে এভাবে সরকারী নদী হতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসলেও উপজেলা প্রশাসন কার্যকরী কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেননি। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন কারীদের আইনের আওতায় আনার দাবী তুলেছে স্থানীয় সচেতন মহল।
এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাঃ মোছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা ছিল না স্থানীয় সচেতন মহল ও গনমাধ্যককর্মীদের মাধ্যমে জানতে পারি এবং এব্যাপারে অতি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply