রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা  উপলক্ষে জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন বাগেরহাট জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক
সংবাদ শিরোনাম :
বাগেরহাটের চন্দ্রমহল ইকোপার্কের ভিতর ঝুপড়ী ঘর কিসের কারণে: তা নিয়ে জনমনে নানা গুঞ্জন 

বাগেরহাটের চন্দ্রমহল ইকোপার্কের ভিতর ঝুপড়ী ঘর কিসের কারণে: তা নিয়ে জনমনে নানা গুঞ্জন 

রামপাল(বাগেরহাট) সংবাদাতা।।

বাগেরহাটের রনজিৎপুর বহুল আলোচিত ও সমালোচিত বেসরকারী বিনোদন কেন্দ্র চন্দ্রমহল ইকোপার্কের ভিতর ছোট্ট ছোট্ট এত ঝুপড়ী ঘর কিসের কারণে বাধা হয়েছে, তা নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহলে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। বিনোদন কেন্দ্রে আসা দর্শনার্থীরা কি ঐ ঝুপড়ী ঘরে বসে অনৈতিক কার্যকালাপ করার জন্যই কি ঝুপড়ী ঘর গুলি তৈরী করা হয়েছে, তা নিয়ে সচেতন মহলেও চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে পার্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করারও দাবী উঠেছে।

জানা গেছে, ২০০৬সালে স্থানীয় শিল্পপতি সৈয়দ আমানুল হুদা সেলিম প্রায় ১১.৯৩একর জমির উপর বেসরকারী বিনোদন কেন্দ্র চন্দ্র মহল ইকোপার্ক নামের একটি পার্ক নির্মাণ করেন। পার্ক নির্মাণ করার পর স্থানীয় এলাকাবাসি মনে করেছিলেন পার্কটি জনমানুষের কল্যানে ব্যপক সহায়ক হবে। কিন্তু তার আসল রুপ ভেসে উঠলো সোমবার সকালে খুলনা র‍্যাব-৬ ও বন্যপ্রাণী ব্যাবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা এর যৌথ অভিযানে। এসময় তারা বিপুল পরিমানে অবৈধ ভাবে মজুদ করে রাখা প্রাণীর চামড়া ও বন্যপ্রাণী জদ্ব করেন। এর মধ্যে হরিণের চামড়া ০৬টি, ভাল্লুকের চামড়া ০১টি, কুমির ০১টি, ক্যাঙ্গারুর চামড়া ০১টি, তিমির কংকাল ০১টি, অষ্টেলিয়ান ঘু ঘু ০৫টি, হরিণের শিং ০৬টি, উট পাখি ০৬টি, ময়ুর ০১টি, মাছমুড়াল পাখি ০২টি, বক ০৭টি, বানর ০৫টি ও কচ্ছপ ০২টি জদ্ব করেন। উপরোক্ত চামড়া ও বন্যপ্রাণীর কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে বন্যপ্রাণী সংরক্ষন আইন ২০১২ এর ৩৭(২) ৪০. ৩৪(খ). ২৪ এর অপরাধে কর্তৃপক্ষকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। কিন্তু নগত ৫০হাজার টাকা প্রদান করায় পার্কের ম্যানেজার মোঃ মহব্বত আলী চাকলাদার-কে ছেড়ে দেওয়া হয়। এখন জনমনে প্রশ্ন উঠেছে এতদিন তিনি কি ভাবে পার্কে কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকা সর্ত্তেও চামড়া ও বন্যপ্রাণী রাখলেন। তারা কি আইনের চোখে বৃদ্ধাঙ্গল দেখিয়ে এসমস্ত কাজ করেছেন। এখন জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, পার্কের ভিতর ছোট্ট ছোট্ট এত ঝুপড়ী ঘর কিসের কারণে বাঁধা হয়েছে। তা নিয়েও জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য ২০১২সালের ৬ মে খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান মরহুম মোঃ আমির আলী তরফদার বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর একটি আবেদন ও একই সাথে পার্কের ব্যাবস্থাপককে অসামাজিক লগ্ন কার্যকালাপ বন্ধে কারণ দশানো নৌটিশ প্রদান করেন। ঐ নোটিশে বলা হয়েছিল পার্কের ভিতর অধিক মুনাফার আসায় পার্কে লেকে ছোট ছোট কামরা তৈরী করিয়া ফি এর বিনিময়ে যুবক-যবতিদের একান্তে অবস্থানের ব্যাবস্থা করিয়া পার্ক কর্তৃপক্ষ যুব সমাজকে বিপথগামী করিয়া এলাকার সমাজিক পরিবেশ চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ সহ যুব সমাজকে ধংশ ও বিভিন্ন অপরাধ মুলক কার্যে লিপ্ত থাকার অনুপ্রেরনা যোগাচ্ছেন। তার পর দীর্ঘ ৯বছর অতিবাহিত হলেও পার্ক কর্তৃপক্ষ স্বগর্ভে সেই অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ – ২০২৪, www.chulkati24.com

কারিগরি সহায়তায়ঃ-SB Computers