শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
ফাইল ফটো
বাগেরহাট অফিস
বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে ২০ ঘন্টায়ও সন্ধান মেলেনি কয়লা বোঝাই কার্গো ডুবিতে নিখোজ ৫ নাবিকের।মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে পর্যন্ত ডুবে যাওয়া জাহাজ উদ্ধারেও কাজ শুরু করেনি মালিক পক্ষ।নিখোজ নাবিকদের উদ্ধারে কোস্টগাডের্র অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. খন্দকার মুনিফ তকি।এর আগে সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টায় বন্দরের হারবাড়িায়ার-৯ নম্বর বয়া এলাকায় পানামা পতাকাবহী জাহাজ হ্যান্ডিপাকের্র ধাক্কায় ডুবে যায় কয়লা বোঝাই কার্গো এম ভি ফারদিন-১। এতে ওই জাহাজে থাকা ৭ নাবিকের মধ্যে ৫ নাবিক ডুবে যায়।এখন পর্যন্ত ওই ৫ নাবিক নিখোজ রয়েছে।নিখোজ নাবিকরা হলেন,পিরোজপুর জেলার সৌরভকাঠি উপজেলার বোটমাস্টার মহিউদ্দিন,একই এলাকার রবিউল,নূর আলম,ভান্ডারিয়া উপজেলার জিহাদ,এবং মোংলা এলাকার সামসু।উদ্ধার হওয়া নাবিকরা হলেন,পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার পাইটখালী গ্রামের রায়হান চৌধুরী,বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার মাকরডোন নারিকেল তলা এলাকার মোঃ রুবেল।উদ্ধার হওয়া নাবিক রায়হান চৌধুরী বলেন,আমরা কয়লা নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম।হঠাৎ করে মাদার ভ্যাসেল আমাদের কার্গোটিকে ধাক্কা দেয়।মুহুতের্র মধ্যে আমাদের কার্গোটি ডুবে যায়।
মোংলাস্থ শ্রমিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স টি হকের সুপার ভাইজার মোঃ লোকমান হোসেন বলেন, বন্দরে অবস্থানরত বিদেশি জাহাজ ‘এলিনা বি’ থেকে ৩৫০ টন কয়লা নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল কার্গো জাহাজ ফারদিন-১।পণ্য খালাস শেষে পানামা পতাকাবহী হ্যান্ডিপার্ক জাহাজ (মাদার ভেসেল) বন্দর ত্যাগ করার সময় বিপরীত থেকে আসা কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজটিকে ধাক্কা দেয়।ওই কার্গোটি ডুবে যায়।এসময় অন্য একটি লঞ্চ এসে কার্গোর তে থাকা ৭ জনের মধ্যে দুইজনকে উদ্ধার করলেও পাঁচ জন নাবিক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।মাল্টা পতাকাবাহী বিদেশি জাহাজ এলিনা বি’র স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিংয়ের ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজ বলেন,সুপার ভাইজার লোকমান হোসেনের কাছ থেকে দূর্ঘটনার খবর শুনেছি। নিখোঁজ নাবিককে উদ্ধারে কোস্টগার্ড অভিযান শুরু করেছে।কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন,মোংলার মিডিয়া কর্মকর্তা লে. খন্দকার মুনিফ তকি বলেন,খরব পেয়ে রাতেই কোস্টগাডের্র সদস্যরা ওই এলাকায় পৌছেছে।নিখোজ পাঁচ নাবিককে উদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করা হয়েছে।বিকেল পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত আমরা ৫ নাবিকের কাউকে খুজে পাইনি। নিখোজ নাবিকদের উদ্ধারে কোস্টগাডের্র অভিযান অব্যাহত রয়েছে।কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দিন বলেন,বাংলাদেশ শিপিং আইন অনুযায়ী ডুবে যাওয়া বলগেটটির বানিজ্যিক পন্য পরিবহনের অনুমতি ছিল না।তারা বেআইনিভাবে কয়লা পরিবহন করেছে। এসব বিষয়ে বলগেট মালিকদের আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন বন্দরের এই কর্মকর্তা।গত ৮ অক্টোবর সার নিয়ে বন্দরের পশুর নদীতে ও ৯ অক্টোবর পাথর নিয়ে ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় দুইটি কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটে।
Leave a Reply