মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০২ পূর্বাহ্ন

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা  উপলক্ষে জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন বাগেরহাট জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক
সংবাদ শিরোনাম :
বাগেরহাটে দুই বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে আহত : ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর লুটপাট মোহনপুরে সড়ক দূর্ঘটনা রোধে জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযান আন্তর্জাতিক নারী নির্য়াতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন উপলক্ষে বাগেরহাটে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত মোংলা বন্দর ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠানকে সন্মাননা প্রদান বাগেরহাটে বকেয়া বেতনের দাবিতে পৌরসভা কর্মচারীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ বাগেরহাটে সড়কের পাশে বাজারের ব্যাগে রাখা নবজাতক উদ্ধার ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চিতলমারীতে বিক্ষোভ মোংলায় গরীব কৃষকদের  ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা  কৃষিবিদ  শামীম উৎসব মুখর পরিবেশে ভট্রকনকপুর মাদ্রাসার আজীবন সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী তামিমকে মোংলায় সংবর্ধনা
তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে রামপালে প্রায় ৪ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে রামপালে প্রায় ৪ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

মেহেদী হাসান,রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা
তিনদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও ঝড়ে বাগেরহাটের রামপালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ী, পুকুর ও চিংড়ি ঘেরের। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে ১৪ হাজার ৪শ মানুষ। এ এলাকার দুর্গতদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহায়তা প্রদাণ অব্যাহত রয়েছে। ৩৩৩ এ কল করলেই দুর্গতদের বাড়ীতে পৌঁছে যাবে সহায়তা,  জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কবীর হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ দুর্গতদের যারাই ৩৩৩ নম্বরে কল করবেন তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে টানা তিনদিনের বৃষ্টিপাত ও সেই সাথে ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নানা ধরণের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে কম বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ঘরবাড়ীর দিক দিয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উজলকুড় ইউনিয়নে। এ উপজেলায় মোট ১৫টি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তারমধ্যে ১২টি আংশিক ও ৩টি পুরোপুরি বিধ্বস্ত। এছাড়া গাছপালা পড়েছেও ব্যাপক। অতি বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৯শ ৩২ হেক্টর জমির ৩ হাজার ৫শ ৪২টি পুকুর/ মৎস্য ঘের ডুবে গেছে। তাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭০ লাখ ৮৬ হাজার টাকার। আর ১ হাজার ৩২ হেক্টর জমির ৩ হাজার ২শ ৩৭টি চিংড়ি ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে ৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকার। মৎস্য সেক্টরেই শুধু ক্ষতি হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকার। আর অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার। অপরদিকে জলাবদ্ধার শিকার হয়েছেন এ উপজেলার ৩ হাজার ৬৫০টি পরিবারের ১৪ হাজার ৪শ জন মানুষ।  মৎস্য খামারিরা জানান,তীব্র বৃষ্টি ও বাতাসে ঘেরের পাড় ধ্বসে পড়েছে ও ভেড়ি তলিয়ে গেছে। নেট-পাটা বাতাসে আলগা হয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে। মাঝ সিজিনে এসে এমন বৃষ্টি হওয়ায় মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন ঘের মালিক কাজী কামরুল ইসলাম ও তার সহোদর কাজী জামরুল ইসলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কবীর হোসেন বলেন, দুর্গতদের স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে খাদ্যের পাশাপাশি সকল ধরণের সহায়তা প্রদাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারপরও যাদের প্রয়োজন তারা ৩৩৩ নম্বর কল করলে আমরা খাবার পৌঁছে দেবো তাদের কাছে।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ – ২০২৪, www.chulkati24.com

কারিগরি সহায়তায়ঃ-SB Computers