শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন
পি কে অলোক,নিজস্ব প্রতিবেদক।
বাগেরহাটের ফকিরহাটের খাজুরা ৬গেটের উপরী অংশে রেল বিভাগ কর্তৃক প্রবাহমান পশর নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি নিস্কাশনে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে তিন উপজেলার প্রায় ৫০টি গ্রামে স্থায়ী জলাবদ্ধার সৃষ্টি হয়ে ফসলী জমি মৎস্য ঘের ও বাড়ির আঙ্গিনা তলিয়ে জনগনের সিমাহীন সমস্যা সম্মুখীন হতে হচ্ছে। রেল বিভাগকে বাঁধ কেটে দেওয়ার জন্য বারবার বলা হলেও তাঁরা তাতে কোন কর্ণপাত করছেন না। যে কারনে স্থানীয় জনগনের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অতিদ্রুত ৬গেটের উপরী অংশে রেল বিভাগ কর্তৃক দেওয়া বাঁধ কেটে না দেওয়া হলে হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমির রোপা ধান, বীজতলা, শতশত বিঘা মৎস্য ঘের ও বিভিন্ন বাড়ির আঙ্গিনা তলিয়ে জনগনের ক্ষতি চরমে পৌঁছে যাওয়ার আশাংকা করা হচ্ছে।জানা গেছে, রুপসার ভৈরব নদীর উপরী অংশ দিয়ে পশর নদী প্রবাহিত হয়ে লখপুর ইউনিয়নের খাজুরা ৬গেটের উপর দিয়ে বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলী মাসকাটা ধনপোতা ষাটতলা কুমোরখালী শুভদিয়া হয়ে রামপালের গৌরম্বা ও দাকোপের চালনায় গিয়ে মিশেছে। এই নদীর উপরী অংশে ফকিরহাটের লখপুর পিলজংগ বেতাগা শুভদিয়া, রামপালের গৌরম্বা বর্নি সায়রাবাদ, বটিয়াঘাটার আমেরপুর নারায়নখালী নারায়নপুর শ্যামগঞ্জ ও বাইনতলা সহ প্রায় ৫০টি গ্রামের সকল পানি খাজুরা ৬গেট দিয়ে সরবরাহ হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়,উপরোক্ত সকল গ্রামের প্রায় ২০টি বিলের পানিও এই পশর নদী দিয়ে সরবরাহ হয়। আর বিল গুলির উপর হাজার হাজার পরিবার জীবন-জিবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু খাজুরা ৬গেটের উপরী অংশের নদীর উপর নির্মানাধিন রেল বিভাগ কর্তৃক পশর নদীর মুল অংশে বাঁধ দিয়ে পানি নিস্কাশনে চরম বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। যে করণে প্রবল বর্ষনে উপরে জমে থাকা পানি নিচেই সরবরাহ হতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে জনগনের চরম ক্ষতি সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এতে ভুক্তভোগীরা পথে বসার উপক্রম হয়েছে।লখপুর ইউনিয়নের ভট্টেখামার গ্রামের আলতাপ হোসেন, আলমগীর মোড়ল, শফিকুল ইসলাম, আমাজাদ হোসেন, বাবু, জিল্লুর রহমান, নজরুল ইসলাম ও ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ বজলুর রহমান মোড়ল অভিযোগ করে বলেন, গত প্রায় ২বছর ধরে রেল বিভাগ রাস্তা নির্মানের নামে ৬গেটের উপরী অংশে (মুল নদীতে) বাঁধ দিয়ে সেখানে নামমাত্র ১টি পাইপ দিয়ে পানি সরবরাহ করছে। যা দিয়ে উপরে জমে থাকা বিপুল পরিমানে পানি কোন ক্রমেই সরবরাহ হওয়া সম্ভাব হয়ে উঠছেনা। এ বিষয়ে তারা রেল বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বারবার বলা সর্ত্তেও তারা তাতে কোন কর্ণপাত করছেন না। যে কারনে প্রবল বর্ষনে উপরে জমে থাকা পানি এখন বন্যার রুপ ধারন করছে বলেও তাদের অভিযোগ। তাঁরা আরো বলেন মাসকাটা-সাবপ্রজেক্ট নামের একটি পানি ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকলেও তারাও এই বিষয়ে তেমন কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করছেন না। সব মিলে তারা এখন বাধের কারণে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য ভুক্তভোগীরা উর্দ্ধতন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply