বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা  উপলক্ষে জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন বাগেরহাট জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক
সংবাদ শিরোনাম :
মোংলায় এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে সহপাঠি কলেজ ছাত্র আটক, থানায় মামলা   চুলকাটি প্লন্টিং ফর ফিউচার এর উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন বাগেরহাটে মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স বাগেরহাটে ডিবিসি নিউজের সাংবাদিককে ‘নব্য বিএনপি-জামায়াত’ সমর্থকদের মারধর বাগেরহাটে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত বাগেরহাটের ফকিরহাটে ইজিবাইক পিকআপ সংঘর্ষে শিক্ষিকাসহ নিহত-৪ বাগেরহাটে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার রামপালে পর্ণগ্রাফি আইনের মামলা করায় বাদীকে হুমকি  রামপালে কৃষকের জমি অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ রামপালে জোরপূর্বক জমি দখল নিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ
রামপালে তিব্রলবণাক্তার ভিতরে সৌদি খেজুরচাষে সফল আইনজিবী জাকির হোসেন

রামপালে তিব্রলবণাক্তার ভিতরে সৌদি খেজুরচাষে সফল আইনজিবী জাকির হোসেন

মেহেদী হাসান নিজস্ব প্রতিবেদক (রামপাল)
উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট রামপালের মাটিতে এবার চাষাবাদ হচ্ছে সৌদি খেজুর। মরুভূমির এই উদ্ভিদ চাষে নতুন সম্ভাবনা দেখছেন জেলার চাষিরা। ভিনদেশি ফলের সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচন করেছেন বাগেরহাট জেলা জজ আদালতের আইনজীবী দিহিদার জাকির হোসেন।রামপাল উপজেলার সন্ন্যাসী হাজীপাড়া এলাকায় ‘রামপাল সৌদি খেজুর বাগান’ সৌদি খেজুর চাষ করে জাকির হোসেন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন স্থানীয়দের।

১৫ একর মৎস্য ঘেরের খামারের বেড়িবাঁধে এখন আড়াই হাজারের মতো খেজুরগাছ রয়েছে জাকিরের। দুই বছরেই ফল এসেছে অনেক গাছে। লোনা পানির এই এলাকায় সৌদি খেজুর চাষের সফলতাকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও কৃষিক্ষেত্রে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে জেলা কৃষি বিভাগ।খেজুরচাষি দিহিদার জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০১৪ সালে ১৫ একর জমিতে ৯টি পুকুর খনন করে মাছ চাষ শুরু করি। পুকুরের পাড়জুড়ে বিভিন্ন ফলজ গাছও রোপণ করি। কিন্তু লোনা পানির জন্য এসব ফসলে লাভ হচ্ছিল না। অন্যদিকে অতিরিক্ত লোনা পানির কারণে ঘেরে গলদা চিংড়ি বা কার্পজাতীয় মাছ ভালো হয় না। তারপর কয়েক বছরে বাগদা চিংড়িতেও লোকসানে পড়ি। পরে হতাশা কাটিয়ে উঠতে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘রামপাল সৌদি খেজুর বাগান’ নাম দিয়ে এই খেজুর চাষ শুরু করি।তিনি আরও বলেন, প্রথম দিকে লোকজন আমাকে পাগল বলত। ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে ২০০ সৌদি খেজুরের চারা এনে রোপণ করি। পরবর্তীতে নরসিংদী থেকে আরও ১০০ চারা আনি। বর্তমানে আমার আজোয়, মরিয়ম, সুকারি, আম্বার ও বারহি― এই পাঁচ জাতের আড়াই হাজারের মতো খেজুর চারা রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৫০০ চারা প্রস্তুত রয়েছে নার্সারিতে। বর্তমানে ৫০টি গাছে ফলন হলেও আগামী এক বছরের মধ্যে বাগানের অন্তত ২০০ থেকে ৩০০ গাছে খেজুর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বছর থেকে বাণিজ্যিক উপায়ে খেজুর ও চারা বিক্রির আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।এ ছাড়া খেজুরের পাশাপাশি ভিয়েতনামি নারকেল, কয়েক প্রজাতির আম, আমড়া, মাল্টাসহ বেশ কিছু ফলের চাষ করেন তিনি। খামারে রয়েছে ৩০টি দেশি গরু। নতুনদের উদ্দেশে জাকির হোসেনের পরামর্শ, কলম ও বীজ দুভাবেই সৌদি খেজুরের চারা তৈরি হয়। এই বীজের চারার বেশির ভাগ পুরুষ হয়ে যায়। ফলে ফল আসে না। তাই নতুন যারা শুরু করবে, তাদের কলমের (অপ শুট) চারা কেনার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।জাকির হোসেন আরও বলেন, আমার এখানে এখন সার্বক্ষণিক তিনজন কর্মচারী রয়েছে। ভবিষ্যতে এই নার্সারিতে আরও অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ – ২০২৪, www.chulkati24.com

কারিগরি সহায়তায়ঃ-SB Computers