শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
সম্পাদক
চুলকাঠি টুয়েন্টি ফোর চুলকাঠি টিভি ও নিউজ মিডিয়া -এর এক বছরে পা রাখার বিষয়টি গুরুত্ব বহন করেছে। অনলাইন পত্রিকাটি বিভিন্ন বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমঝোতা করে না। এ জন্য অনলাইন পত্রিকাটি এ দেশের মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে।চুলকাঠি ২৪এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নিউজ মিডিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন শুভেচ্ছা রইল।
চুলকাঠি টুয়েন্টি ফোর চুলকাঠি টিভি ও নিউজ মিডিয়া উত্তরোত্তর আরও সমৃদ্ধ হোক- সেই কামনা করি। এ পত্রিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক আসাদুজ্জামান সোবহান ও সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আল-ফাহাদ জেলা উপজেলা বাগেরহাট অফিসসহ সকল কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিবৃন্দদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।
‘চুলকাঠি২৪’ এক বছরে পা দিল। প্রথম দিন থেকে এ এক বছর আপনারা সময়ের সাহসী সংবাদ চুলকাঠি টুয়েন্টি ফোর সঙ্গে ছিলেন এবং এখনও আছেন আশা করি আগামী দিন গুলোতে ও থাকবেন । এটা আমাদের জন্য একটি বড় পাওয়া।অনলাইন পত্রিকাটি এক বছর পূর্তি উপলক্ষে তাই প্রার্থনা- সমাজের সব অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যম যেভাবে নিরলস কাজ করে এসেছে, আগামীতেও সেভাবে কাজ করুক। দায়িত্বশীল ও সাহসী সাংবাদিকতার জন্য চুলকাঠি ২৪ পাঠকের আস্থা অর্জন করেছে। দেশ, জাতি, মাটি, মানুষ আর মুক্তিযুদ্ধের কথা নিরন্তর বলায় আমরা আপনাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।সকল প্রতিনিধিবৃন্দদের সাফল্য কামনা করি।
চুলকাঠি২৪ এ সাহসী অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে।এক বছরে পদার্পণ করেছে জেনে আমার আনন্দিত। আধুনিক পত্রিকা হিসেবে এটির পাঠকপ্রিয়তার অন্যতম কারণ-সব শ্রেণি-পেশার মানুষের তথ্যচাহিদা পূরণে সদা তৎপর থাকে পত্রিকাটি।পাঠক, লেখক সবাই পত্রিকাটিতে অনলাইনে পেয়ে থাকেন সংবাদ পরিবেশন ও বিশ্লেষণে তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণের পরিচয়। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে বলিষ্ঠ মতপ্রকাশে চুলকাঠি টুয়েন্টি ফোর চুলকাঠি টিভি ও নিউজ মিডিয়া দেশের অগ্রগামী একটি অনলাইন পত্রিকায় পরিণত হয়েছে।
রাজনীতি, অর্থনীতি, জাতীয়, আন্তর্জাতিকবিষয়ক খবর প্রকাশ- সর্বত্রই রয়েছে অভিনবত্বের ছাপ। এক বছরে পদার্পণ করায় আশা করি, চুলকাঠি ২৪ স্বাধীনতার ও দেশের পক্ষে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।সৎ, সাহসী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাবে। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে মিডিয়ারও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আশা করি, বিভিন্ন বিষয়ে চুলকাঠি টুয়েন্টি ফোর আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।আমরা আশা করি ও সাফল্য কামনা করছি। আমাদের ধারাবাহিকতা আরও এগিয়ে যাক- এই প্রত্যাশা করি।
পাঠকের প্রত্যাশাঃ-
এ-ও লক্ষ করা গেছে, যে পত্রিকার চাহিদা পাঠকের কাছে নেই, সেই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে দাতারাও আগ্রহী হন না। এতে প্রতীয়মান হয় যে, বিজ্ঞাপনদাতা এবং পত্রিকা কর্তৃপক্ষ উভয়ের কাছে পাঠকের গুরুত্ব রয়েছে।
অতএব, পত্রিকার কাছ থেকে পাঠক কী চায়, সেটা ভাববার মতো একটি বিষয়। দ্রব্যসামগ্রী কিনতে মানুষ দোকানে যায়। নিঃস্ব অবস্থায় অন্যের কাছে হাত পাততে যায়। হতাশ ব্যক্তি গণকের কাছে হাত পাততে যায় – রোগী ডাক্তারের কাছে ছুটে যায় চিকিৎসাসেবা পাওয়ার জন্য।
এ রকম, অনেকে অনেকের কাছে যায়। কিন্তু অন্যায়-অবিচারে অতিষ্ঠ মানুষ কার কাছে যাবে? অর্থাৎ, কে তার পাশে এসে দাঁড়াবে? কেউ বলে, ‘মাতব্বরের কাছে যাও-না।’ যাবে কী করে? অভিযোগ যে খোদ সোনার ছেলের বিরুদ্ধে!একজন নাগরিক যখন ন্যায়সঙ্গত অধিকার থেকে বঞ্চিত হন, তখন তিনি প্রতিকার চাইতেই পারেন। প্রতিকার না পেলে প্রতিবাদ করার অধিকারও তার রয়েছে। কিন্তু সেই প্রতিবাদটুকু জানাবেন কোথায়? হয়তো দেখা যাবে, তার যোগ্যতা থাকলেও ক্ষমতা নেই।
এক ধরনের প্রতিষ্ঠাও হয়তো তার আছে; কিন্তু সংগঠনের ছত্রছায়া নেই। সামাজিক অভিজ্ঞতার ফলে প্রচলিত ব্যবস্থাগুলোকে তিনি আস্থার আওতায় আনতে পারছে না। এ অবস্থায় তার পাশে দাঁড়ানোর মতো কে আছে?তারা বিশ্বাস করে, সংবাদপত্রই সাধারণ মানুষের একমাত্র নির্ভরযোগ্য মুখপত্র।- এমনকি মুখপাত্রও বটে। একটি পত্রিকার প্রকৃত শক্তির উৎস জনগণের ভালোবাসা, জনগণের আস্থা। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ কথা মনে রাখতে হবে যে, ভালোবাসা উপভোগ করা সহজ; কিন্তু ভালোবাসার দায়িত্বটুকু পালন করা কঠিন। ভুলে গেলে চলবে না,- সংবাদপত্র হল একটি দেশের, একটি জাতির, একটি সমাজের চব্বিশ ঘণ্টার ইতিহাস।
চুলকাঠি টুয়েন্টি ফোর চুলকাঠি টিভি ও নিউজ মিডিয়া নামে একটি অনলাইন পত্রিকা যুক্ত হয় । তখন অল্প সময়ের মধ্যেই পত্রিকাটি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়।পত্রিকা পাঠকমহলে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করে নিয়েছে।অনলাইন পত্রিকাটি যে রাতারাতি নামডাক কামিয়েছে- তা বলা যাবে না। তবে তখন সব অনলাইন পত্রিকা নিজেদের সেরা অবস্থানে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।মাত্র এক বছরের পথপরিক্রমায় সেই মুঠোফোন এখন গোটা বিশ্বকে মানুষের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে, যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের সাংবাদিকতায়। ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমগুলো এ সময়ের সাংবাদিকতার পাল্টে দিয়েছে।
সংবাদপত্রের সঙ্গে আমাদের পেশাগত কোনো সম্পর্ক না থাকলেও প্রতিনিয়ত সংবাদপত্রের সঙ্গেই আছি। কিন্তু এত ব্যাপক পরিবর্তন আগে কখনও দেখিনি। এখন হাতে একটি ভালো মুঠোফোন থাকলেই সাংবাদিকতার সুযোগ তৈরি হয়ে যাচ্ছে।দেশের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, সেখান থেকেই প্রতিবেদন ও ছবি সংগ্রহ করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারছেন। সেই প্রতিবেদন ও ছবি যদি হৃদয়গ্রাহী হয় তাহলে তো কথাই নেই।
এসব প্রতিবেদন ছাপা পত্রিকার মাধ্যমে সকালে পাঠকদের হাতে পৌঁছানোর বহু আগেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠকের কাছে চলে যায়। তাই এখন ছাপা পত্রিকার সাংবাদিকরা অনলাইন সংস্করণে সংবাদ ছাপানোর দক্ষতাও অর্জন করে ফেলেছেন। সেইসঙ্গে তাকে সামাজিক প্রচারমাধ্যমের জন্য ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করা, ছবি তোলাসহ নানা কাজ শিখতে হচ্ছে।প্রতিটি গণমাধ্যমকে আজ লড়াই করতে হচ্ছে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য। এ অবস্থায়ও দেশের স্বার্থে, বাংলা ভাষার মর্যাদা অটুট রাখার স্বার্থে এবং সর্বোপরি একটি সুশিক্ষিত জাতি গঠনের স্বার্থে চুলকাঠি টুয়েন্টি ফোর কাজ করে যাবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
হে চুলকাঠি২৪! নিজেদের সাহস অটুট রেখে নির্ভীক সাংবাদিকতার বীজ বুনে যাও কাল থেকে মহাকাল পর্যন্ত। তোমাদের রোশনাই ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বজুড়ে।আগামীতে চুলকাঠি২৪ সত্য প্রকাশে আরও নির্ভীক হয়ে উঠবে- এ কামনা করি। উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
Leave a Reply