শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৬ অপরাহ্ন
চুলকাঠি ডেস্ক
বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন ও রাখালগাছি ইউনিয়ন যৌথ ভাবে মিলে খুলনা-মোংলা হাইওয়ে মহাসড়কে পাশের্ব অবস্থিত চুলকাঠি বাজার ।জনবহুল এই বাজারে প্রতিদিন হাজার ও মানুষের আনাগোনা নিত্য প্রয়োজনীয় কেনাকেটা জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাজারে আসা যাওয়া। অতি কষ্টের বিষয় অল্প বিষ্টিতে মেইন যাতায়াত রাস্তায় হাটু পানিতে জলাবদ্ধতায় ভুগতে হয় চুলকাঠি বাজার ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণের।বৃষ্টি হলে রাস্তাজুড়ে থইথই পানি, কর্মব্যস্ত মানুষের চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে অন্তহীন প্রতিবন্ধকতা বাজারের আর্থিক লেনদেন বন্ধ হয়ে যায় ব্যবসায়ীরা পড়ে চরম বিপাকে। পানি ও তরল বর্জ্য নিষ্কাশনে ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক তৈরি করা হলেও সে ব্যবস্থাই এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ড্রেনগুলো সচল না থাকায় আটকে যাচ্ছে পানি বেড়ে যায় দুর্ভোগ। হাঁটু পানির জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি একটু বেশি হলেই সড়কে ৩/৪ দিন ধরে সময় লাগে জমে থাকা পানি সরতে। তাই একমাত্র ভরসা সাধারণ জনগনের নিত্য দিনের জীবন ধারনের আস্থার স্থান চুলকাঠি বাজারে না আসতে পারলে মধ্যে বিত্ত মানুষের খাওয়া/দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।এই পরিস্থিতি সমাধান চাই অতিদারিদ্র পরিবারের ভুক্তভোগী মানুষ।বর্ষা মৌসুম আসার আগে অল্প বৃষ্টিতে বাজারের মেইন যাতায়াত রাস্তাগুলো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় নেই কোন পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা অনুপযোগী হয়ে পড়ে বাজার ব্যাবস্থা।দীর্ঘ দিন জনদুর্যোগ চরম থেকে চরমে পরিনত হয়েছে এমতাবস্থায় বাজারে পানি নিষ্কাশনের জন্য অতি জরুরি বাজারের ড্রেন ব্যাবস্থা ড্রেন না থাকার কারনে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন কয়েকবছর ধরে বাজার ব্যাবসায়ীরা ভুক্তভোগী সাধারণ জনগন। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই সড়ক ডুবে যায়। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও বাড়ে।বাজারের ভিতর থেকে বয়ে যাওয়া সড়ক পাশে অবস্থিত ছোট-বড় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্তমান সময় মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে,তাই বৃষ্টি হলে স্কুল পড়িয়া ছাত্র/ছাত্রীদেও দুভোর্গ ভোগ করতে হয় বিদ্যালয় তলিয়ে যায়। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে সকল মহলের অভিযোগ।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বলেন, চুলকাঠি বাজারের পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম খালগুলো অবৈধ দখল ও কঠিন বজের্য ভরাট হয়ে আছে। এছাড়াও ড্রেন, বক্স কালভার্ট ও ব্রিক স্যুয়ারেজ লাইন দিয়ে পানি নদীতে যেতে পারছে না। অপরিচ্ছন্ন ও দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণেই ফলে ভারি বর্ষণে বাজারের অলিগলি, প্রধান সড়ক, ফুটপাত পর্যন্ত তলিয়ে যায়। এ সময় খানাখন্দে ভরা সড়কে চলাচলে হতাহতের ঘটনা আছেই। কিন্তু তারপারেও জলাবদ্ধতা সমাধানে তুলনামূলক নজর কম। কিন্তু ওয়াসা ড্রেনেজ প্রকল্পে প্রতি বছর খরচ করছে কোটি কোটি টাকা।রাত থেকে সকাল পর্যন্ত মুষলধারে চলতে থাকা টানা বৃষ্টি হলে বিভিন্ন এলাকার সড়কে পানি জমে দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। কোথাও পানির স্রোত গিয়ে তলিয়ে গেছে দোকান পাট ও ঘরবাড়িতে। প্রধান প্রধান সড়ক তো বটেই, বিভিন্ন সংযোগ সড়কেও পানি জমে থাকে।সড়কে নেমে অফিসমুখী নগরবাসী দুর্ভোগে পড়েন। অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে, পানি মাড়িয়ে গন্তব্যে ছুটেছেন। ইঞ্জিনে পানি ঢুকে যানবাহনও বিকল হতে দেখা গেছে। বেশিরভাগ রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় শুস্ক রাস্তায় সব গাড়ি ঢোকায় বিভিন্ন এলাকায় ছিলো তীব্র যানজট। এছাড়া বিভিন্ন বাসা-বাড়িতেও পানি উঠলে ঘরের জিনিসপত্র তাড়াহুড়া করে বের করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গেছেন অনেকেই।দ্রুত ড্রেনের ব্যাবস্থা করতে বাজারেব সর্বস্তরের জনগণ ও সচেতন মহলের দাবি।
Leave a Reply