রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
মোল্লা আব্দুর রব বাগরেহাট অফিস
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানী এলাকার ২৪ নাম্বার কম্পার্টমেন্টে আবারো আগুন লেগেছে।সোমবার বেলা এগারোটার দিকে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসীর ধারনা প্রায় পাঁচ একর বন ভুমি এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।আগুন নেভাতে স্থানীয় লোকজন,বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।আগুনের বিস্তৃতি যাতে না বাড়তে পারে সেজন্য ফায়ার লাইন (আগুনের অংশের মাটি আলাদা করা) কাটার কাজ করছে তারা।এলাকাবাসী ও বন বিভাগের ধারনা মৌয়ালদের ফেলে দেয়া আগুন থেকে এই আগুনের সূত্রপাত।এরআগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চঁাদপাই রেঞ্জের পার্শ্ববর্তী ধানসাগর এলাকার চার শতক বনভূমি পুড়ে যায়।শরণখোলা উপজেলা সদর থেকে দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের মরা ভোলা নদী পার হয়ে সুন্দরবন।সেখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের দাসের ভারানি টহল ফঁাড়ির আওতাধীন এলাকায় আগুনের ঘটনা ঘটেছে।বন বিভাগের শরণখোলা স্টেশন অফিস, মরাভোলা ও দাসের ভারানী টল ফাড়ির বনরক্ষীরা এবং দক্ষিণ রাজাপুর,মাঝেরচর ও রসুলপুর গ্রামের শতাধিক গ্রামবাসী আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিয়েছে।
আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়া দক্ষিণ রাজাপুর,মাঝেরচর ও রসুলপুর গ্রামের আফজাল চাপরাশি,রেজাউল,সালাম ও সুমন বলেন,সুন্দরবনের দাসের ভারানি এলাকায় আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা শতাধিক গ্রামবাসী সেখানে ছুটে এসেছি।আমরা বাড়ি থেকে কলসি, বালতি,জগ ও হাড়ি নিয়ে পাশের ভোলা নদী থেকে পানি নিয়ে একদল গ্রাবাসী আগুন নিভাতে চেষ্টা চালাচ্ছি।অন্য একটি দল আগুন যাতে সুন্দরবনের সব দিয়ে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ফায়ার লাইন (আগুনের অংশের মাটি আলাদা করা) কাটার কাজ করছি।মরা ভোলা নদী থেকে আগুন লাগার স্থানের দুরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার।দূরে হওয়ায় পানি পেতে কষ্ট হচ্ছে।এখানে অন্য কোন পানির উৎস নেই।যার কারনে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। প্রায় পাঁচ একর এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে তাদের ধারনা।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এপ্রতিনিধিকে বলেন,সোমবার সকাল এগারোটার দিকে ফঁাড়ির অদূরে ধেঁায়ার কুন্ডলি দেখতে পায় বনকর্মীরা।তারা সেখানে যেয়ে দেখে কোথাও কোথাও ধেঁায়ার কুন্ডলি আবার কোথাও কোথাও আগুন জ্বলছে।এই বনে বলা,গেওয়া ও লতাগুল্ম জাতীয় গাছপালা রয়েছে। আগুনের খবর স্থানীয়দের জানানো হলে তারা আমাদের সাথে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিয়েছে।আগুনের বিস্তৃতি যাতে সব এলাকায় ছড়িয়ে না পড়তে পারে সেজন্য স্থানীয়দের নিয়ে একদিকে পানি ছিটানো হচ্ছে অন্যদিকে ফায়ার লাইন কাটার কাজ চলছে। শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার দমকল বাহিনীর দুইটি দল বনের ভিতরে পাইপ লাইন টানতে শুরু করেছে। পানির যোগান কম থাকায় আগুন নেভানোর কাজে দারুণ অসুবিধা হচ্ছে। জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের ফেলে দেয়া আগুন থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারন করছি তবে কতটুকু এলাকায় আগুন ছড়িয়ে কি ধরনের গাছপালা পুড়ছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।পরে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরুপণ করে জানানো হবে।
Leave a Reply