সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
মুন্সিগঞ্জ: ‘সর্বাত্মক’ লকডাউনের শেষদিনে ও বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে সপ্তাহব্যাপী সারাদেশে লকডাউন জারিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ দূর-দূরান্ত থেকে পিকআপভ্যান, ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারে করে যাত্রীরা ঘাটে আসছেন। লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরি, ট্রলার ও স্পিডবোটে করে যাত্রীরা নদী পার হচ্ছেন।ঘাটে যাত্রীদের কোনো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বালাই নেই। লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে হাজার হাজার যাত্রীদের নদী পার হতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাটে এমন চিত্র দেখা যায়।শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী রিফাত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঢাকার সাভারে একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করছিলাম। লকডাউনের কারণে মালিক বেতন বুঝিয়ে দিয়ে চাকরি থেকে বাদ দিয়েছেন। এখন স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বরিশাল চলে যাচ্ছি। বাধ্য হয়ে সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়েই ট্রলারে যাচ্ছি।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী পরিচালক মো. সাহাদাত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, হাজার হাজার যাত্রী ঘাটে চলে এসেছে। তাদের নদী পারাপারের জন্য ফেরি চালু করা হয়েছে। কিন্তু, লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে, লুকোচুরি করে কিছু স্পিডবোট চলছে। কিছু ট্রলারে করেও যাত্রী নদী পার হচ্ছেন। নৌপুলিশের জনবলের অভাবে এসব নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। তাই, কোস্টগার্ডের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু, হাজার হাজার যাত্রী যখন ঘাট দিয়ে পার হচ্ছে তখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সব সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না।বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, সারাদিন শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করেছে ১৫টি ফেরি। তবে যাত্রীদের চাপে ফেরিগুলোতে যে পরিমাণ গাড়ি লোড করার কথা তা হয়নি।
Leave a Reply