শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
বাগেরহাট অফিস
বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মোঃ দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে দ্বৈত ভোটার থাকার অভিযোগ উঠেছে।এই অভিযোগে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ৯নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মোঃ মাহফুজুর রহমান খোকন নামের এক ব্যক্তি।তদন্ত পূর্বক দ্বৈত ভোটারের বিষয়ে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার বাদল চন্দ্র অধিকারি।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,কাড়াপাড়া গ্রামের ইউসুপ আলী ফকিরের ছেলে মোঃ দিদারুল আলম কাড়াপাড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।যার জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৮২৩৫০১৮০৫১ এবং ৭ নং ওয়ার্ডের ভোটার তালিকার ক্রমিক নং-০৬৫৮ এবং ভোটার নং ০১০২০৩২৬৭৮৪৮।২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি ৭ নং ওয়ার্ড থেকে ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করেন এবং নির্বাচিত হন। বর্তমানেও তিনি এই ওয়ার্ডের ভোটার রয়েছেন।কিন্তু হঠাৎ করে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে ৯ নং ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায়ও ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।৯ নং ওয়ার্ডের ভোটার তালিকার ক্রমিক নং-০৭৫১ এবং ভোটার নং ০১০২০৬২৭২৫১৮।
মোঃ মাহফুজুর রহমান খোকন বলেন,বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এক ব্যক্তি দুই জায়গায় ভোটার হতে পারবে না,যা আইনত দন্ডনীয়।এছাড়া নং ওয়ার্ড অর্থ্যাৎ মির্জাপুর গ্রামে দিদারুল আলমের কোন জমি বা নিজস্ব ঘরবাড়ি নেই।সে এই গ্রামে কখনও বসবাস করেন না।৭ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে কোন প্রকার ইতিবাচক কাজ না করায় জন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন তিনি। যার ফলে নির্বাচন করার অসৎ উদ্দেশ্যে ৯নং ওয়ার্ডের ভোটার হয়েছেন দিদারুল আলম।আমি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এর প্রতিবাদ জানাই।একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির এমন কাজে এলাকাবাসীও ক্ষুব্ধ হয়েছেন।বাগেরহাট সদর উপজেলা নিবার্চন কর্মকর্তা ও কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র অধিকারি বলেন,অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হবে।অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পেলে দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply