রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৩১ অপরাহ্ন

চুলকাটি অনলাইন টিভি ও নিউজ মিডিয়া, সত্য প্রকাশের অঙ্গীকার। 
সংবাদ শিরোনাম :
খুলনা প্রকৌশলী প্রযুক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের মাতার ইন্তেকাল ফকিরহাটে ১৫ পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার ১ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প রামপালে দুর্বৃত্তের অগ্নি সংযোগ; বিএনপির আরও ৪ নেতা গ্রেফতার “বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে নতুনধারার সংবাদ সম্মেলনে তথ্য প্রকাশ ” ৩৪ দিনে ৪৮০ বাহন ও ১১৯ স্থাপনায় অগ্নি সংযোগ-ভাংচুর বাগেরহাটে আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহীসহ মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ৩০ প্রার্থী রামপালে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল বাস বিএনপির ১০ নেতা গ্রেফতার  রামপালে সংসদ সদস্য পদে মন্ত্রী হাবিবুন নাহারসহ ২ জনের মনোনয়ন পত্র জমা ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা নিয়ে এম ভি আরভিকা মোংলা বন্দরে বাগেরহাটের রামপালে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন
গাড়ী আমদানী কমলেও,বেড়েছে রাজস্ব মোংলা বন্দরে গত চার মাসে নিলামে বিক্রি ৯৯টি গাড়ী ক্লিলিয়ারেন্স পারমেট পেলে দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে পরে থাকা গাড়ী গুলো একযোগে নিলামে

গাড়ী আমদানী কমলেও,বেড়েছে রাজস্ব মোংলা বন্দরে গত চার মাসে নিলামে বিক্রি ৯৯টি গাড়ী ক্লিলিয়ারেন্স পারমেট পেলে দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে পরে থাকা গাড়ী গুলো একযোগে নিলামে

মোল্লা আব্দুর রব বাগেরহাট
আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান গুলোর করা মামলা ও সময় মত খালাস নিতে না পারাসহ নানা কারনে মোংলা বন্দরে শেড ও ইয়াডে আমদানি করা গাড়ীর যে জট সৃষ্টি হয়েছিল গত চার মাসের নিলাম সে সমস্যার সমাধান হয়েছে।জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর ও আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সমস্যা সামাধান করা হয়েছে বলে মোংলা কাস্টম হাউজ সূত্রে জানাগেছে।মোংলা কাস্টম হাউজ বলছে গত ৫ বছরে মোংলা বন্দরে নিলামে বিক্রি হয়েছে মাত্র ৫৫টি গাড়ি।এর মধ্যে গত চার মাসেই নিলামে উঠানো হয়েছিলো ৫ শতাধিক গাড়ী যার মধ্যে ৯৯টি ছাড়পত্র করতে পেরেছেন ক্রেতারা।আর করোনা পরিস্থিতে ৪৫.৮ শতাংস গাড়ী আমদানি কমলেও রাজস্ব বেড়েছে ১৪.৮ শতাংস।মোংলা কাস্টম হাউজ বলছে দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে পরে থাকা গাড়ী নিলামে তোলায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের গাড়ী ছাড় করে নিয়ে যাচ্ছেন এ কারনেই গাড়ীর জট সৃষ্টি হচ্ছে না।তবে এ বছর মোংলা কাস্টম হাউজ ৫ হাজার ২শ ৬৬কোটি টাকা রাজস্ব আদায় লক্ষমাত্র নির্ধারন করা হলেও এখনও পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ২হাজার ৭শ কোটি টাকা।তবে ২০২০/২১ অর্থ বছর শেষ হওয়ার আগে রাজস্ব আদায় আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে মোংলা কাস্টম হাউজ।মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও মোংলা কাস্টম হাউজ সূত্রে জানাযায়,মোংলা বন্দর ব্যবহার করে দুই শতাধিক গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।নিয়ম অনুযায়ী আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পৌঁছার ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করিয়ে না নিলে সেগুলো সরকারি নিলামের তালিকায় চলে যায়।পরে শুল্ক ও রাজস্ব আদায়ে কাস্টম কর্তৃপক্ষ তা নিলামে তোলে।তবে আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান গুলোর মামলার কারনে নিলাম প্রক্রিয়া ক্রেতাদের তেমন সাড়া দেখা যায়নি।তবে সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর ও আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সমস্যা সামাধান করা হলে নিলামে আগ্রহ বাড়ে ক্রেতাদের। সেই সাথে আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান গুলো সময় মত তাদের গাড়ী ছাড় করায় আগ্রহ দেখানোর ফলে মোংলা বন্দরের শেড ও ইয়াডে আমদানি করার গাড়ীর জট এখন আর নেই।
সরোজমিনে মোংলা বন্দরে গিয়ে দেখা যায়,মোংলা বন্দর শেড ও ইয়াডে সারিবদ্ধ ভাবে পরে রয়েছেটয়োটা,নিশান,নোয়া,এক্সজিও,প্রোবক্স,প্রিমিও,লেক্রাস,পাজেরো,পিকআপ,এলিয়ানও মার্সিডিসসহ বিলাশ বহুল অসংখ্য গাড়ি।এখান থেকে আমদানি নিষিদ্ধ,আমদানিকৃত গাড়ি সময় মতো না নেয়া ও শুল্ক জটিলতার অনেক গাড়ি এখানে রয়ে গেছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোস্তফা কামাল এপ্রতিনিধিকে বলেন,২০১১ সাল থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত আমদানিকারকরা মোংলা বন্দর দিয়ে কয়েক হাজার গাড়ি আমদানি করেছেন।বর্তমানে বন্দরের শেড ও ইয়াডে ২হাজার ৬শ ৪৩টি গাড়ী রয়েছে।যার মধ্যে নিলাম যোগ্য অসংখ্য গাড়ী রয়েছে।এর মধ্যে ৯৬১টি গাড়ি রয়েছে ২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে আমদানিকৃত।যে গুলো নিলামযোগ্য।
এ ব্যাপারে মোংলা কাস্টম হাউজের কমিশনার মো. হোসেন আহমেদ বলেন,মোংলা বন্দরে আমদানিকৃত রিকন্ডিশন গাড়ীর বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর এ বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিচ্ছে।অনেক পুরাতন গাড়ী আছে যে গুলো আসলে আমদানিযোগ্য ছিলো না।এ গাড়ী গুলোর বিষয়ে সিপি (ক্লিলিয়ারেন্স পারমেট) একটা প্রশ্ন থাকে,এমন বিষয় গুলো এনবিআর সরাসরি দেখছে।এমন আমদানি অযোগ্য গাড়ীর সংখ্যা আছে ১৫০টির উপরে।সবকিছু বিবেচনায় বানিজ্য মন্ত্রণালয় যদি পারমিট করে এ ধরনের গাড়ী গুলো কিন্তু আমরা নিলামে উঠাতে পারবো।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গুলোর মামলা ও তাদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারবিডা) এর সংবাদ সম্মেলন গাড়ী নিলামকে বাধাগ্রস্ত করছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,করোনা পরিস্থিতে কিন্তু গাড়ীর বাজারে কিন্তু ধস নেমেছে।আমদের কিন্তু এ বিষয় গুলো সহভুতিতার সাথে বিবেচনা করতে হয়।৬মাস আগেও কিন্তু বন্দরে অনেক গাড়ী ছিলো,যার কারনে বন্দরে জট সৃষ্টি হয়েছিলো।বারবিডার সাথে এ বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি,কিছু নতুন গাড়ী কিন্তু আমরা এখনও পর্যন্ত নিলামের বাইরে রাখতে সক্ষম হয়েছি।এছাড়া বিভিন্ন সময় কিন্তু আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান গুলো এ বিষয় গুলো নিয়ে হাইকোর্ট এ গিয়েছেন।মাননীয় হাইকোর্ট অনেক সময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিলাম স্থাগিত করার রায় দেন, যদিও মাননীয় হাইকোর্ট এক মাসের বেশি সময় দেয় না।এছাড়া প্রতিটা নিলামের আগে কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ করা হচ্ছে।পাশাপাশি হাইকোর্ট কিন্তু যখন যে ধরনের তথ্য আমাদের কাছে চাচ্ছে সাথে সাথে আমরা কিন্তু সে তথ্য গুলো পাঠিয়ে দিচ্ছি।ফলে হাইকোর্ট কিন্তু যত্রতত্র নিলাম স্থাগিত আদেশ দিচ্ছে না।সবকিছু মিলিয়ে কিছুটা যে অসুবিধা হচ্ছে না,এমনটা নয়।কিছুটা অসুবিধা হয়।কিন্তু নিলামের সার্বিক বিষয় গুলো দেখলে নেট রেজাল্ট কিন্তু ভালো।দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে পরে থাকা গাড়ী গুলো একযোগে নিলামে বিক্রি হবে কি না এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি আরও বলেন,এটার বিষয়ে কিছুদিন আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মহাদয়ের সাথে আলোচনা সভা হয়েছে।সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে,যে গাড়ী গুলো সিপির কারনে (ক্লিলিয়ারেন্স পারমেট) দীর্ঘদিন ধরে পরে আছে।বানিজ্য মন্ত্রনালয় দেখবে যে গাড়ী গুলো সিপি দেয়া যায় কি না।আমরা এই ক্লিলিয়ারেন্স পারমেট গুলো পেলে আমরা দ্রুত এগুলো নিলামে বিক্রি করে ফেলবো

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০২০২১, www.chulkati24.com

কারিগরি সহায়তায়ঃ-SB Computers