শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
লখপুর প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটে লখপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য লী আহম্মেদ শেখ অর্থের লোভে একই ইউনিয়ন এর ছোট খাজুরা গ্রামের আলী মুদ্দিন শেখ এর নাবালক ছেলে হিল্লাল শেখ(১৭)কে প্রতিবেশী আলাউদ্দীন শেখ এর কন্যা এক সন্তানের জননী খাদিজা(৩০)এর সাথে গ্রম্য শালিশির মাধ্যমে জোর করে বিবাহ দেন।স্থানীয়রা জানান খাদিজা বেগমের ইতি পূর্বে ও ২ টি বিবাহ ছিল এবং সর্বশেষ গত ২০ দিন পূর্বে সে একটা বাচ্চা প্রসব করেন যার পিতৃ পরিচয় জানা জায়নি। এমতাবস্থায় এই চরিতত্রহীনা মহিলা এখন নিজের অপরাধ ঢাকার জন্য প্রতিবেশী নাবালক কিশোর হিল্লাল শেখ কে ফাঁসানোর জন্য গত তিন দিন পৃর্বে ফকিরহাট মডেল থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় মেম্বার আহম্মেদ আলী শেখ টাকার বিনিময়ে থানায় মামলা থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতার বলে গ্রাম শালিশির মাধ্যমে তার নিজ বাড়িতে নাবালক ছেলের সাথে উক্ত মহিলার বিবাহ দেন।শুধু বিবাহ দিয়েই তিনি ক্ষান্ত হয়নাই অাজ ৩০ শে অগাষ্ট এই নাবালক ছেলেটিকে পরিকল্পিত ভাবে থানাতে নিয়ে যান সেখানে মামলার তদন্ত কারী কমকর্তা এস আই রফিক তাকে আটক করে।এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী হিল্লাল শেখ বলেন আমি কোন ধরনের ধর্ষনের সাথে জড়িত না গ্রামের মেম্বার টাকা খেয়ে আমাকে ফাঁসিয়েছে।ইউপি মেম্বার আলী আহম্মেদ এর কাছে ধর্ষনের শালিশ কিভাবে করলেন জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন আমি একটা সুষ্ঠু সমাধান করে দিছি।আমি মেম্বার আমার হাতে এ ক্ষমতা আছে।মামলার তদন্ত কারী কমকর্তা এস আই রফিকুল ইসলাম বলেন ফকিরহাট মডেল থানায় একটি ধর্ষন মামলা হয়েছে আমরা আসামীকে আটক করেছি।আর ইউপি মেম্বার কিভাবে ধর্ষনের শালিশ করলো তা আমার বোধগম্য নয়।লখপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আবুল হোসেন বলেন যদি থানায় ধর্ষন মামলা হয় তাহলে কোন ইউপি সদস্য এর শালিশ করার একতিয়ার রাখে না। যেহেতু ইউপি সদস্য আলী আহম্মেদ এধরনের শালিশ করার কোন এখতিয়ার নাই।সেহেতু বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এনে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
Leave a Reply