শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
মোংলা কাস্টগার্ড পশ্চিম জোন’র অভিযানে গাঁজা জব্দ চুলকাটিতে এবার উপজেলা আ,লীগ নেতার বাড়ীতে দূর্ধর্ষ চুরি বাগেরহাটে অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ শিক্ষার নামের সরকারী প্রকল্পের টাকা হরিলুট, বঞ্চিত পথ শিশুরা মোংলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প ও মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত মোংলায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতেও মিলছেনা স্বস্তি বন মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি লিটন গ্রেফতার বাগেরহাটের বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে  আনন্দ মিছিল পালন “মে মাসে সড়কে দুর্ঘটনা বেড়েছে ৪৯%” ৫৫০০ দুর্ঘটনায় আহত ৬৫৩৬ ঝরেছে ৬৩১ প্রাণ  –  সেভ দ্য রোড মোংলায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালন 
রাজাকারদের প্রধান ঘাঁটির পতন ঘটিয়ে নোয়াখালী মুক্ত হয় ৭ ডিসেম্বর

রাজাকারদের প্রধান ঘাঁটির পতন ঘটিয়ে নোয়াখালী মুক্ত হয় ৭ ডিসেম্বর

চুলকাঠি ডেস্ক

আজ ৭ ডিসেম্বর। নোয়াখালী মুক্ত দিবস। মুক্তিসেনারা এই দিনেই জেলা শহরের পিটিআইতে রাজাকারদের প্রধান ঘাঁটির পতন ঘটিয়ে নোয়াখালীর মাটিতে উড়িয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা।২৫ মার্চের পর মুক্তিযোদ্ধারা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নোয়াখালীকে মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। এরপর বহু বাঁধা পেরিয়ে বহুকষ্টে হানাদার বাহিনী ২৩ এপ্রিল নোয়াখালী দখল করে নেয়। দখলদার বাহিনী জেলা শহরের শ্রীপুর, সদরের রামহরি তালুক, গুপ্তাংক, বেগমগঞ্জের কুরিপাড়া পোড়াবাড়ি, গোপালপুর ও আমিশাপাড়ায় নির্বিচারে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। এ সময় হানাদাররা পুড়িয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ-শিশুকে। জ্বালিয়ে দেয় ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান।

এরপর দেশের অভ্যন্তরে ও ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আবার অস্ত্র হাতে মাঠে নামে মুক্তিযোদ্ধারা। কোম্পানিগঞ্জের বামনী, তালমাহমুদের হাট, ১২ নং স্লুইস গেইট, সদরের ওদারহাট, করমবক্স, বেগমগঞ্জের ফেনাকাটা পুল, রাজগঞ্জ, বগাদিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা।

jagonews24নোয়াখালীকে হানাদার মুক্ত করার লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রস্তুতি যখন প্রায় চূড়ান্ত, ঠিক তখনই ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে মাইজদী পিটিআই ও বেগমগঞ্জ টেকনিক্যাল হাইস্কুল ক্যাম্প ছেড়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যেতে থাকে হানাদারবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় বেগমগঞ্জ-লাকসাম সড়কের বগাদিয়া ব্রিজ অতিক্রম করতেই সুবেদার লুৎফুর রহমান ও শামসুল হকের নেতৃত্বাধীন মুক্তি বাহিনীর হামলায় হানাদারবাহিনীর অসংখ্য সদস্য নিহত হয়।

মুক্ত দিবসের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মো. হানিফ, মোজাম্মেল হক মিলন, এনাম আহমেদ, মো. কামাল উদ্দিন জানান, ৭ ডিসেম্বর ভোররাত থেকে মুক্তিযোদ্ধারা নোয়াখালীকে শত্রুমুক্ত করার চূড়ান্ত অপারেশন শুরু করেন। সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে সকল মুক্তিযোদ্ধারা একযোগে চতুর্দিক থেকে আক্রমণ চালিয়ে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা সংলগ্ন টেকনিক্যাল হাইস্কুলে অবস্থিত রাজাকার ক্যাম্পটি মুক্ত করেন।একই দিন জেলা শহরের মাইজদি কোর্ট স্টেশন, জিলা স্কুল, দত্তেরহাট নাহার মঞ্জিল মুক্ত করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তারপর হানাদারবাহিনী ও রাজাকারদের প্রধান ঘাঁটি মাইজদি পিটিআই ভোর থেকে মুক্তিযোদ্ধারা চতুর্দিক ঘিরে ফেলে। মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান টের পেয়ে পিটিআই ক্যাম্পের ভেতরে অবস্থানরত রাজাকাররা এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে পাশের সরকারি আবাসিক এলাকার এক ব্যক্তি মারা যান। পাল্টা গুলি চালায় মুক্তিযোদ্ধারাও। গুলির শব্দে কেঁপে উঠে পুরো শহর।

jagonews24সন্ধ্যা ঘনিয়ে অন্ধকার নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাম্প ছেড়ে পালাতে থাকে রাজাকাররা। বিপরীত দিক থেকে গুলি বন্ধ হলে মুক্তিযোদ্ধারা ক্যাম্পের ভেতরে গিয়ে দেখতে পান সেখানে ১০-১২ জন রাজাকারের লাশ পড়ে আছে। এছাড়া আরও কয়েকজন রাজাকার ধরা পড়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে। এভাবে অবশেষে ৭ ডিসেম্বর মুক্ত হয় নোয়াখালী জেলা।জেলার মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মোজ্জাম্মেল হক জানান, প্রতি বছর নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালন করা হলেও করোনার কারণে এবার সংক্ষিপ্তাকারে দিনটি পালন করা হবে। দুপুরে মুক্ত স্কয়ারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে এবং পরে জেলা প্রশাসক হল রুমে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০২০২১, www.chulkati24.com

কারিগরি সহায়তায়ঃ-SB Computers