বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন
সেকেন্দার মোড়ল,(নিজস্ব প্রতিবেদক)
বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর সামসুল হুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ ফিরোজ আহম্মদকে অবৈধভাবে নিয়োগ ও দূর্নীতির দায়ে ম্যানেজিং কমিটি সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। প্রধান শিক্ষকের সাময়িক বরখাস্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি জেলা শিক্ষা অফিসে আবেদন করেন। যার প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অসীম কুমার দাশ বিদ্যালয়ে তদন্ত এসে শিক্ষক, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে কথা বলেন।
জানা যায়,শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশ ক্রমে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে চরম দুর্নীতি থাকায় তার নিয়োগকে অবৈধ বলে উল্লেখ করে তার গৃহীত বেতনের সমুদয় অর্থ ফেরৎ দিতেও বলা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর অলীউল্লাহ আজমতগীর কর্তৃক ১১অক্টোবর স্বাক্ষরিত ৩৭.১৯.০০০০.০৫৫.১৬.০০৮.২০.৪ পত্রে পাঠানো অত্র বিদ্যালয়ের পরিক্ষা ও নিরিক্ষা প্রতিবেদনের ১৫নং কলামের (ঝ) এর (১) এ নিয়োগ তথ্য ও মন্তব্য কলামে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ ফিরোজ আহম্মদের নিয়োগের সময় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে বিধি লংঘন, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন,পূর্বের প্রতিষ্ঠানের অনাপত্তিপত্র না থাকা ও ২০০৯সালের ২৫শে নভেম্বের তারিখে তার নিয়োগের দিন ও ২০০৯ সালের ২৯শে নভেম্বর তার নিয়োগ অনুমোদনের দিন সময়ে বিদ্যালয়ে এডহক কমিটি থাকায় তার নিয়োগ বিধি যথাসম্মত হয়নি বলে তিনি সরকারি বেতন পাবেন না বলে ২০১০ সালের ০১মে থেকে ২০১৯সালের ৩মে ডিসেম্বর পর্যন্ত তার মোট গৃহীত বেতন ২৬,৮১,২০০ টাকা ও উক্ত তারিখের পর গৃহীত সকল বেতনের টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরৎ দিতে বলা হয়েছে এবং একই পরিক্ষা ও নিরিক্ষা প্রতিবেদনের ৪এর (ক) কলামে বিদ্যালয়ের আয় ব্যায় সংক্রান্ত তথ্য ও মন্তব্যে প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যায় সংক্রান্ত তথ্যাদিতে ব্যাপক অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় তাহার বেতন ভাতাদীর সরকারী অংশ স্থগিত/বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। যাহার প্রেক্ষিতে গত ১৪ই অক্টোবর অত্র বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মানেজিং কমিটির সভাপতি লিটন শিকদার এর সভাপতিত্বে এক জরুরী সভায় উপস্থিত সকল সদস্যের সর্বসম্মিতি ক্রমে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ ফিরোজ আহম্মদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তের পর তার বরখাস্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সভাপতি বরাবর আবেদনের অনুলিপির মাধ্যমে জেলা শিক্ষা অফিসে প্রধান শিক্ষকের আবেদনের পর শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্তে এসেছিলেন। তদন্ত শেষ করার পর স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি বিদ্যালয়ে তদন্তে এসে শিক্ষক, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে কথা বলেন। তিনি জানান, প্রধান শিক্ষক শেখ ফিরোজ আহম্মেদের বিরুদ্ধে সকলের জোরালো অভিযোগ রয়েছে। তার সৈরাচারী আচারণ, খাম-খেয়ালীপনা, অসামাজিক আচারণ, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিভাবকদের সাথে অসদাচরন, অর্থ কেলেংকারী সহ বহুবিধ অভিযোগ রয়েছে । তাছাড়া বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তিনি তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তদন্তের প্রাপ্ত তথ্য অবহিত করেছেন।
Leave a Reply