মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
চুলকাঠি অফিস
খুলনা-মোংলা মাদারীপুর পিরোজপুর ও বাগেরহাট মহা-সড়কে খোলামেলা ভাবে শতশত ট্রাক, ড্রাম ট্রাক ও পিকাপে করে ধুলাবালুসহ বিভিন্ন পন্য বহন করা হচ্ছে।পুলিশের চোখের সামনে ভোলামেলা ভাবে এই সমস্ত বেআইনী ও অমানবিক কাজ করার ফলে মহা-সড়ক এখন ধুলাবালুর কারনে স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও কেউ প্রতিকারে এগিয়ে আসছে না। জানা গেছে, বর্তমান শীত মৌসুমে করোনা পরিস্তিতির কারনে জনগন এমনীতেই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তার উপর প্রতিদিন ও রাতে শতশত ট্রাক, ড্রাম ট্রাক ও পিকাপে করে তারা বিভিন্ন ধুলাবালু বহন করে বিভিন্ন মেঘা সহ উন্নয়ন প্রকল্পে তা সরবরাহ করছে।
কিন্তু চালকরা কোন প্রকার ঢাকনা বা প্লাষ্টিকের নেট জাল ছাড়াই ধুলাবালু সহ বিভিন্ন মাটি বহন করার তা রাস্তায় পড়ে বা তা উড়ে সমগ্র এলাকার পরিবেশের চরম ক্ষতি করছে।যে কারনে বাতাসের সাথে ধুলাবালু মিশে পরিবেশ দুষন হয়ে অনেকে নানা প্রকার রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয়রা বলেছেন, কাকডাকা ভোর হতে শতশত ড্রাম ট্রাক ও পিকাপে করে চালকরা বিভিন্ন স্থান হতে ধুলাবালু বহন করে সড়ক কাপিয়ে বীরদর্পে চলাচল করছে।
চলাচল করার সময় ড্রাম ট্রাক বা পিকাপে থাকা অধিকাংশ বালু খোলামেলা থাতায় তা উড়ে গিয়ে যাত্রী পথচারী ও অন্যান্য যানবাহনের চালকদের চোখে মুখে পড়ছে।শুধু তাই নয়, ধুলাবালু পড়ে প্রতিটি স্থানে বিভিশিখাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। যা নিজে চোখে না দেখলে বুঝাই যাবেনা এই সমস্ত চালকদের কাছে স্থানীয় জনগন কতটা অসহায়।
চালকরা গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড সহ মহা-সড়কের উপর দিয়ে এতটাই বেপরোয়া গতীতে তাদের গাড়ী গুলি চালাচ্ছে যা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। তাদের ফেলে যাওয়া ধুলাবালুর করনে দোকানের অধিকাংশ খাবার সামগ্রী খাবার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।পুলিশ সড়ক মহাসড়কে সর্বসময় ডিউটি করলেও এই সমস্ত চালকদের বিষয়ে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করছে না। যে করনে স্থানীয় জনগনের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন প্রশাসনের হাস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
Leave a Reply