শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৭ অপরাহ্ন
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁর সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ঘিরে এবং ফ্রান্সে ইসলামের নবীর কার্টুন প্রকাশ করা নিয়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ হচ্ছে। সে বিষয় দিয়ে আজকে শুরু করছি, প্রথমে লিখেছেন খুলনার পাইকগাছা থেকে
”ফ্রান্সে এক শিক্ষক ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাল্লেল লাহু আলয়হে ওয়াসাল্লাম)-এর ব্যাঙ্গ কার্টুন চিত্র দেখানোর পর, এক মুসলিম তরুণ তাকে শিরশ্ছেদ করে। তা নিয়ে সারা মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক আলোচনা চলছে। সেই শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি মত প্রকাশের স্বাধীনতা নামে নবীর ব্যঙ্গ কার্টুন কীভাবে দেখায়? নিশ্চয় ফরাসি আইনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর কোন বিচার হয় না, সেই জন্য ফরাসি ম্যাগাজিন শার্লি এব্দো বার বার নবীর কার্টুন অঙ্কন করে । অন্যদিকে ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ নবীর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে গোটা ফ্রান্স ও মুসলিমদের উস্কানি দিচ্ছে।”
ফ্রান্সের আইনে জাতিগত এবং ধর্মগত বিদ্বেষের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা আছে মি. ইসলাম। তবে ফ্রান্সের সব চেয়ে বড় মূল্যবোধ হচ্ছে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাক স্বাধীনতা বা মতামত প্রকাশ করার স্বাধীনতা। কার্টুন প্রকাশ করেছে একটি ম্যাগাজিন, যার স্বাধীনতা আইনে নিশ্চিত করা আছে। ফ্রান্সে অনেক মানুষই আছেন যারা এ’ধরণের কার্টুন প্রকাশ করা নিয়ে অস্বস্তি বোধ করেন, কিন্তু তারা এটাও বোঝেন যে, মুক্তচিন্তা রোধ করা ফ্রান্সের মৌলিক মূল্যবোধের পরিপন্থী হবে।
এ’বিষয়ে আরো লিখেছেন ঢাকার গেণ্ডারিয়া থেকে
”ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ সম্ভবত আগুনে ঘি ঢেলেছেন। বাক স্বাধীনতার নামে মি. ম্যাক্রঁ যা বলেছেন, তা চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ, একপেশে ও পক্ষপাতদুষ্ট। প্রকারান্তরে তিনি প্রতিটি মুসলিমের বিশ্বাসে চরমভাবে আঘাত করেছেন। তিনি ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করতে গিয়ে ইসলামকে “আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের উৎস” হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা দায়িত্বশীল একজন রাষ্ট্রপ্রধানের মুখে শোভা পায় না। অথচ ফ্রান্সের জাতীয় ফুটবল দলের মিডফিল্ডার পল পগবা বলেছেন, “ইসলামকে প্রত্যেকে যেভাবে দেখে – সন্ত্রাস – ইসলাম সেরকম নয়। এটা খুব সুন্দর একটি ধর্ম।” আমার প্রশ্ন তাহলে কে সত্য বলেছেন, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, না পল পগবা। আশা করি বিবিসি বাংলা উত্তর দিবে।”
আমার কোন সন্দেহ নেই মি. রহমান যে, আপনার সেন্টিমেন্টের সাথে অনেকেই একমত হবেন। তবে, মি. ম্যাক্রঁ যেহেতু ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, তাই দেশের আইন এবং মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা তার দায়িত্ব। তবে হ্যাঁ, এখানে একটি রাজনৈতিক খেলাও আছে।
নিজ দেশের ভেতরে মি. ম্যাক্রঁর রাজনৈতিক অবস্থান বর্তমানে বেশ নড়বড়ে এবং অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, তিনি নিজের ভাগ্য ঘুরানোর জন্য ইসলামী জঙ্গিবাদকে একটি বড় হুমকি হিসেবে উপস্থাপন করবেন। এর ফলে যদি ফ্রান্সে মুসলিম-বিদ্বেষের নতুন অধ্যায় শুরু হয়, তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকবেন, ফ্রান্সের ভেতর থেকেই এর তীব্র নিন্দা জানানো হবে।আর পল পগবা যা বলেছেন, সেটা তিনি তার নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে বলেছেন, সেটা নিয়ে আমার মন্তব্য করার কিছু আছে বলে মনে হয় না।
Leave a Reply