মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
আরিফ ঢালী,(নিজস্ব প্রতিবেদক)
দেশে করোনা পরিস্থিতির কারনে বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের শিকদার বাড়ীর মন্ডপে এবার হচ্ছেনা এশিয়া মহাদেশের সব্বোর্চ সংখক প্রতিমা দিয়ে দূর্গাপূজার আয়োজন। গত বছরও বাগেরহাটের হাকিমপুরের শিকদার বাড়ীর মন্ডপে সনাতন হিন্দু ধর্মের ৮০১ টি দেবদেবীর প্রতিমা তৈরী করে জাঁকজামকপূর্ণ ভাবে পালন করা হয় সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা। এবার দেশে করোনা পরিস্থিতির কারনে বাগেরহাটের হাকিমপুরের এই মন্ডপে স্বল্প পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে এবারের দূর্গা পূজা। ষষ্ঠীতে বোধনের মধ্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) শুরু হয়েছে সনাতন হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মী উৎসব দুর্গাপূজা। যা আগামী ২৬ অক্টোবর দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাগেরহাট সদরের হাকিমপুর গ্রামের শিকদার বাড়ীর মন্ডপে ঘরোয়া পরিবেশে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয় দূর্গোৎসবের শুরু হয়েছে।বিগত ২০১১ সালে বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামে বিশিষ্ট ব্যবসায়ি লিটন শিকদারের ব্যক্তি উদ্যোগে তার বাড়ীর মন্ডপে দেবদেবীর ২৫১ টি প্রতিমা দিয়ে বড় আকারে দূর্গাপূজার আয়োজন করা হয়। এরপর প্রতি বছরই এই মন্ডপে দেবদেবীর প্রতিমার সংখ্যা বেড়ে গত বছর ৮০১ টিতে গিয়ে দাড়ায়। দেবদেবীর সংখ্যার দিক দিয়ে এই মন্ডপটি এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহত দূর্গা মন্ডপ হিসেবে পরিচিতি পেয়ে যায়। প্রতি বছর দেশ-বিদেশের সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বি থেকে শুরু করে হাজার-হাজার মানুষের পদচারনায় এই দূর্গা মন্ডপটি তীর্থস্থানে পরিনত হয়। ওই সময়ে জনশ্রোতে মোংলা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যা ছিল হাকিমপুর শিকদার বাড়ীর দূর্গোৎসবের নিত্যদিনের চিত্র। এই অবস্থায় বাগেরহাটের শিকদার বাড়ীর মন্ডপের দেবদেবীর প্রতিমার সংখ্যাধিকের খ্যাতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে দেশের মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে ভারতের কূটনীতিকরাও দূর্গাপূজার সময় ছুটে আসতেন বাগেরহাটের এই দূর্ঘাপূজা মন্ডপে। এবছর ৮৫১টি প্রতিমা দিয়ে এখানে দূর্গাপূজা আয়োজনের কথা থাকলেও দেশে করোনা পরিস্থিতি সবকিছু ওলাটপালট করে দিয়েছে। এবার শারদীয় দূর্গোৎসবে এই মন্ডপে দেখা যাবেনা চীরচেনা সেই জনসমাগমের দৃশ্য।হাকিমপুর শিকদার বাড়ীর পূজা মন্ডপকে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহত দূর্গাপূজা দাবী করে মন্ডপের আয়োজক বিশিষ্ট ব্যবসায়ি লিটন শিকদার জানান, দেশে করোনা পরিস্থিতির কারনে তাদের বাড়ীর মন্ডপে এবার দুর্গোৎসবে বড় কোনো আয়োজন থাকছে না। স্বল্প পরিসরে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বড় আকারে দূর্গাপুজা আয়োজন সম্ভব না হওযায় সাদামাটা হবে এ বছরের আয়োজন । তিনি আরও বলেন স্বাস্থ বিধি মেনে আসলে পূজা পালন করা সত্যিই অসম্বব তাই আমি সকলকে শিকদার বাড়ীর পূজাতে না আসতে উৎসাহিত করছি। আসলেও সকলকে স্বাস্থ বধি মেনে আসতে হবে । তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি ভাল হলে আগামী বছর আবার জাকজমকপূর্নভাবে আয়োজন করা হবে সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসব । এবছর দূর্গাপূজায় সময় কাউকে তাদের বাড়ীতে অহেতুক ভীড় না করার অনুরোধ ও জানান তিনি।
Leave a Reply