বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন
দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলা থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের মূল যন্ত্রাংশ নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বা পারমাণবিক চুল্লি খালাস শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে থেকে বন্দরের ৯ নম্বর জেটি থেকে আমদানিকৃত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওইসব পণ্য খালাস শুরু হয়।
এর আগে রাশিয়ার ভলগা নদী থেকে যাত্রা শুরু করে প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে জাহাজটি মঙ্গলবার রাতে মোংলা বন্দরে পৌছায়। মালামালগুলো নৌপথে লাইটার জাহাজে করে এক মাসের মধ্যে রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্রে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের (রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প) বৈজ্ঞানিক তথ্য কর্মকর্তা সৈকত আহমেদ।
এদিকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চাহিদা অনুযায়ী এমভি ডাইসি নামক জাহাজে ২ হাজার ৩‘শ ৫৫ মেট্রিক টন মেশিনারিজ প্যাকেজ নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার পাশাপাশি সতর্কতার সাথে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামালগুলো সড়ক ও নৌপথে রুপপুর পাঠাচ্ছেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা। মেশিনারিজগুলো রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বৈজ্ঞানিক তথ্য কর্মকর্তা সৈকত আহমেদ বলেন, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রাশিয়ার ভিভিআইআর ১২০০ মডেলের দুটি ইউনিটে ২ হাজার ৪‘শ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। আমাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রথম ইউনিটের মালামাল মোংলায় এসে পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের দিকে আমরা উৎপাদনে যেতে পারব বলে আশা করছি।
উল্লেখ, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন করে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে নতুন করে উৎপাদনের দিকে এগিয়ে যেতে কাজ শুরু করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প।
Leave a Reply