মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন
সিনেমা হল খোলা নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন হল মালিক ও প্রযোজকরা। ইন্ডাস্ট্রির এই সংকটময় সময়ে দীর্ঘদিন হল বন্ধ থাকায় বড় অংকের লোকসান গুনতে হয় হল মালিকদের। অন্যদিকে প্রযোজকরাও সিনেমা শেষ করে মুক্তি না দিতে পারায় আটকে যায় লগ্নি। দেশের অন্যান্য বিনোদন মাধ্যম চালু হলেও সব শেষে হল খোলার অনুমতি দেয় সরকার। অবশেষে ১৬ অক্টোবর সারাদেশের হল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। এই খবরের পরেও হল মালিকদের মুখে হাসি নেই। সারাদেশে ৬৬টি হল খোলা হয়। হিরো আলমের সিনেমা ছাড়া কোনো নতুন সিনেমা মুক্তি পায়নি এখনো। যদিও আগামীকাল ‘ঊনপঞ্চাস বাতাস’ সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হবে। তবে শুধুমাত্র স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে এটি।এখন পর্যন্ত দেশের অনেক বড় হল খুলেনি। হল মালিকরা বলছেন নতুন সিনেমা না এলে হল খুলবেন না তারা। এই সময়ে হল খুলে বাড়তি লোকসান গুনতে নারাজ হল মালিকরা। অন্যদিকে প্রযোজকরাও এই সময়ে সিনেমা মুক্তি দিতে চাইছেন না।
সেন্সরপত্র পেয়ে প্রায় ২২টি সিনেমা রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। সেগুলো কবে মুক্তি পাবে এ নিয়ে কিছু জানা যায়নি। হল খুললেও সারাদেশে হলগুলোতে দর্শকের অভাব। স্বাভাবিক সময়েও হলের ওপর দর্শকদের আগ্রহ কমেছে এখন। আর এই করোনার মধ্যে হলে গিয়ে সিনেমা দেখায় উত্সাহী হচ্ছেন না দর্শকরা। যদিও বলা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সিমিত আসনে সিনেমা দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবুও এই সময় দর্শকদের আগ্রহ নেই হলে গিয়ে সিনেমা দেখার। পরিচালক মতিন রহমান বলেন, ‘করোনার পরপর যদি ভালো বার্তা দর্শকদের কাছে না পৌঁছানো যায়, তাহলে কিন্তু তারা আর কোনো দিন হলমুখি হবে না। এখন সময়টা ডিজিটাল। মানুষ কোনো কিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে আর সেদিকে তাকায় না। আমাদের সে দিকটা খেয়াল রাখতে হবে।’
সভাপতি ও মধুমিতা হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ‘ভালো ছবি না আসলে হল খুলবো না। যেসব ছবির কোনো কোয়ালিটি নেই সেসব চালাতে চাই না। এতে লাভ তো দূরে থাক, খরচের টাকা ওঠে না। প্রয়োজনে বাইরে থেকে ছবি আনবো, তবু মানহীন কিছু চালাবো না।’ সিনেমা হলের এই দৈনদশার মধ্যে করোনা দেশের সিনেমার ব্যবসাকে আরো পিছিয়ে নিয়ে গেছে। যদিও সিনেমা হলের বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে ভাবছেন সবাই। কিন্তু সিনেমা হলে অবস্থা আবারো কবে ফিরবে তা নিয়ে শঙ্কায় হল মালিকরা।
Leave a Reply