শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:২০ অপরাহ্ন

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা  উপলক্ষে জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন বাগেরহাট জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক
সংবাদ শিরোনাম :
ভাই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ লাগিয়ে সুবিধা নিতে চাই তৃতীয় পক্ষ, থানায় অভিযোগ বাগেরহাটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা ব্যয় কমাতে এবার পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হয়েছে চিটাগুড় রামপালে আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগ বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সমন্বয়কেরা সফল ও জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম’র দায়িত্ব ফিরে পেতে স্থানীয়দের দাবী মাদকের প্রতি আসক্ত তরুণ সমাজকে মাদকমুক্ত করে শিক্ষিত হয়ে স্বাবলম্বী হতে হবে: এম এ সালাম বাগেরহাটে আওয়ামীলীগ সভাপতির অত্যাচার- নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার দাবিতে মানববন্ধন বাগেরহাটে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বিরুদ্ধে দুদুকের মামলা রামপালে  হামলার বিচার দাবীতে  ছাত্রদল নেতার পরিবারের  মানববন্ধন আগামীকাল  এস পি এল’র এলিমিনেটর ও কোয়ালিফায়ার ম্যাচ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রভাব ও দেশের উন্নয়ন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রভাব ও দেশের উন্নয়ন

বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গিয়েছেন। স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়ার। সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। শোষণ বৈষম্যর অবসান ঘটিয়ে প্রত্যেক মানুষকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা। জাতির পিতার কাছে জনগণের থেকে প্রিয় আর কিছু ছিল না। স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্র ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে স্বাধীনতার স্থপতি মহাকালের মহাপুরুষকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা, শিশু রাসেল ও নারীসদস্যসহ পরিবার ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয় সকলকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বাংলার ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যায় সৃষ্টি করে তারা হত্যার রাজনীতির অবতারণা করে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে। হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দিয়ে আইনের শাসন সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করে। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে অবস্থান করায় বেঁচে যান। কিন্তু খুনি মোশতাক ও জেনারেল জিয়া তাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরতে দেন নাই। বাধ্য হয়ে তারা ভারতে ছয় বছর নির্বাসিত জীবনযাপন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

১৯৮১ সালের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাউন্সিল অধিবেশনে ঐকমত্যের ভিত্তিতে শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করে। তারপর জনগণের চাপের মুখে জিয়া সরকার শেখ হাসিনাকে দেশের ফিরে আসার অনুমতি দিতে বাধ্য হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা তাঁর পিতার প্রিয় স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পদার্পণ করেন। সেদিন বিমানবন্দরে লক্ষ জনতা তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে যায়। বিমানবন্দর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ জনতা রাস্তার দোপাশে ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হয়। ঐদিন জনগণের স্মৃতিপাতায় বঙ্গবন্ধুর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারির পাকিস্তান কারাগার থেকে দেশে প্রত্যাবর্তনের দৃশ্য উদ্ভাসিত হয়। শেখ হাসিনার সাথে জনতাও আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছিল।

শেখ হাসিনা বাবা-মা, ভাই-ভাবি, আত্মীয়স্বজন সবাইকে রেখে স্বামীর সাথে বিদেশে যান। সাথে ছিল ছোট বোন রেহেনা। ছয় বছর পর ফিরে এসে কাউকে পাননি। যে বাবা দেশ স্বাধীন করেছেন, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের স্থান করে দিয়েছিলেন, সেই বাবাকে সপরিবারে তাঁরই দেশের কিছু বিশ্বাসঘাতক নির্মমভাবে হত্যা করেছে। দেশে ফিরে সর্বহারা শেখ হাসিনার মনের ব্যথা ও কষ্ট কত গভীরে তা সহজেই উপলব্ধি করা যায়। তারপরও স্বজনহারার বেদনা বুকে নিয়েই তিনি জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে পিতার স্বপ্ন পূরণের সোনার বাংলা তৈরি করার প্রত্যয়ে নিজেকে নিয়োজিত করলেন। শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে তিনি এগিয়ে চলার দৃঢ় সংকল্প নিলেন। জেনারেল জিয়া নিষ্ঠুর ও অমানবিক ছিলেন। শেখ হাসিনাকে ৩২ নং ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত সেই পৈতৃক বাড়িতে ঢুকতেও দেননি। শেখ হাসিনা একবুক ব্যথা নিয়ে রাস্তায় মিলাদ পড়ে আপনজনদের জন্য দোয়া করেছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ – ২০২৪, www.chulkati24.com

কারিগরি সহায়তায়ঃ-SB Computers