বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ অপরাহ্ন

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা  উপলক্ষে জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন বাগেরহাট জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক
সংবাদ শিরোনাম :
মোংলায় এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে সহপাঠি কলেজ ছাত্র আটক, থানায় মামলা   চুলকাটি প্লন্টিং ফর ফিউচার এর উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন বাগেরহাটে মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স বাগেরহাটে ডিবিসি নিউজের সাংবাদিককে ‘নব্য বিএনপি-জামায়াত’ সমর্থকদের মারধর বাগেরহাটে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত বাগেরহাটের ফকিরহাটে ইজিবাইক পিকআপ সংঘর্ষে শিক্ষিকাসহ নিহত-৪ বাগেরহাটে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার রামপালে পর্ণগ্রাফি আইনের মামলা করায় বাদীকে হুমকি  রামপালে কৃষকের জমি অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ রামপালে জোরপূর্বক জমি দখল নিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ
মোঘল আমলের নিদর্শন ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ

মোঘল আমলের নিদর্শন ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ

চুলকাঠি ডেস্ক  : কুষ্টিয়া সদর থানার ঝাউদিয়া গ্রামে মোঘল সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে জমিদার শাহ সুফি আহমদ আলী ওরফে আদারী মিয়া মসজিদটি নির্মাণ করেন। এটি মোঘল শিল্পকলার এক অপূর্ব নিদর্শন। বর্তমানে সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এটি সংরক্ষণ করে আসছে।

মসজিদটি কুষ্টিয়া শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া জেলার মধ্যবর্তী স্থানে ঝাউদিয়া গ্রামে অবস্থিত। যা দেখতে প্রতিদিনই শত শত দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। ভ্রমণপিপাসুদের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে স্থানটি। তবে তাদের জন্য তেমন সুযোগ-সুবিধা নেই। নেই বিশ্রামের জায়গা।

jhaudia

স্থানটি দর্শনীয় হওয়া সত্ত্বেও দর্শকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় পর্যটকরা এলেও অবস্থান করতে পারেন না। অন্যদিকে দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মসজিদটি তার জৌলুসও হারাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ঝাউদিয়া শাহী মসজিদের সুদৃশ্য পাঁচটি গম্বুজ রয়েছে। চার কোণায় রয়েছে চারটি নান্দনিক মিনার এবং ভেতরে প্রবেশ দরজায়ও দুটি মিনার রয়েছে। এটি অপূর্ব শৈল্পিক কারুকাজ সম্বলিত একটি স্থাপনা, যা সহজেই মুগ্ধ করে সবাইকে।

jhaudia-2

ইতিহাস বলছে, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের নিভৃত পল্লি ঝাউদিয়া গ্রাম। এ গ্রামে সম্রাট শাহজাহানের আমলে ঐতিহ্যবাহী শাহী মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আজ থেকে তিনশ বছর আগে সম্রাট শাহজাহান এ মসজিদ নির্মাণ ব্যয় বহন করেন। সে সময় নির্মাণ কাজ পরিচালনা করেন শাহ সুফি আদারী মিয়া চৌধুরী।

উপমহাদেশ থেকে আসা ধর্মপ্রচারক শাহ সুফি আদারী মিয়া চৌধুরী ৮৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর ১৯৬৯ সালে হাসান চৌধুরী তৎকালীন সরকারের সাথে একটি রেজিস্ট্রি চুক্তিনামা অনুযায়ী মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে।

jhaudia-2

চুক্তিনামা অনুযায়ী, এ মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে থাকবেন হাসান আলী চৌধুরী অথবা তার বংশধর। বর্তমানে মসজিদ কমিটিতে তারই বংশধর। তারাই মসজিদটি পরিচালনা করছেন।

নিপুণ কারুকার্যে নির্মিত মসজিদটি পরিদর্শনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য মানুষ ভিড় করেন। বিশেষ করে প্রতি জুমার দিন এখানে লোক ধারণের জায়গা থাকে না। তাই মসজিদটিকে ঘিরে কিছু কুটির শিল্পও গড়ে উঠেছে।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ – ২০২৪, www.chulkati24.com

কারিগরি সহায়তায়ঃ-SB Computers