রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
বাগেরহাট অফিস
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের সাবেক ছাত্রদল নেতা মাদক ব্যবসায়ী নব্য যুবলীগ নেতা পরিচয় দানকারী সোয়াইব ইসলাম সোয়েবের নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। বুধবার দুপুরে চন্দ্রপাড়া এলাকার দুই শতাধিক নারী-পুরুষ সোয়েবের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন।মানববন্ধনে বক্তব্য দেন,কচুয়া উপজেলা তাতী লীগের সদস্য সচিব সরদার মহিদুল ইসলাম,স্থানীয় বাসিন্দা নাসিমা খানম,সালাম শেখ,মোহাম্মাদ মোস্তফা,রাজিয়া সুলতানা,রাশিদা বেগম,মাসুদ মিনা, আকবর শেখ,মিঠুন,শেখ মিন্টুসহ আরও অনেকে। বক্তারা বলেন,পারিবারিক ভাবে জামাত-শিবিরের মদদ পুষ্ট সোয়াইব ইসলাম সোয়েব ছাত্র দলের নেতা ছিলেন।বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে হঠাৎ করেই যুবলীগের নেতা বনে যান।এরপর থেকে এলাকার মানুষকে নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে।এলাকার যুবতী মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা,স্থানীয়দের কাছ থেকে জোড় জবরদস্তি করে টাকা আদায়,সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন,মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে এমন কোন খারাপ কাজ নেই যা তিনি করেন না।সোয়েবের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন।আমরা সোয়েবের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।এদিকে চন্দ্রপাড়া এলাকার বাইরেও শহরের বাগেরহাট সেনিটারি‘র মালিক মনির হোসেন মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বলেন,সোয়েব একজন প্রতারক।বাগেরহাটের এমপির প্রটোকল অফিসার পরিচয় দিয়ে আমার দোকান থেকে ৯৫ হাজার টাকার মালামাল নিয়েছে।নগদ ২০ হাজার টাকা দিলেও, অবশিষ্ট টাকা নিয়ে এখন ঘুরাচ্ছে।চন্দ্রপাড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, বিভিন্ন সময় সোয়েব আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়েছে।আমি যখন রাজি হয়নি।তখন আমার ছেলেকে মারধর করেছে।আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হলে আমার ছেলেকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে।আমি সোয়েবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।স্থানীয় নাসিমা খানম বলেন,সাইনবোর্ডে ক্লিনিক করার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে। ক্লিনিকও করেনা, আবার আমার টাকাও ও ফেরত দেয় না।আমি টাকা চাইলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকী দেয়।মোহাম্মাদ মোস্তফা বলেন, আমার জামাই আনোয়ার হোসেনকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে ৭ লক্ষ টাকা নিয়েছে সোয়েব।টাকা ফেরত চাওয়ায় আমার জামাইকে মারধর করেছে।আবারও টাকা চাইলে বিভিন্ন মামলায় ফঁাসানোরও হুমকী দিয়েছে।এছাড়াও একাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে সোয়েব।সোয়েবের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোয়েব বলেন,আমি কখনও ছাত্রদলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না।আমি কোন অপরাধ করিনি।বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের কান্ডের প্রতিবাদ করায় আমাকে হয়রানি করার জন্য কিছু দুষ্টলোক এই মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচার চালাচ্ছে।যার কোনোটাই সত্য নয়।
Leave a Reply