বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ অপরাহ্ন
চুলকাঠি ডেস্ক : ময়মনসিংহের নান্দাইলে মোটরসাইকেলচাপায় সুশীল চন্দ্র বিশ্বাস (৭০) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। কিন্তু বাবার মৃত্যুর বিচার চায়তে পারবেন না পুলিশের কাছে এমন মুচলেকা দিয়ে লাশ দাহ করতে হয়েছে ছেলে রিপন চন্দ্র বিশ্বাসকে। শোনা যাচ্ছে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় মিমাংসা করে বাবার শেষকৃত্য করেছেন তিনি।নিহত সুশীল চন্দ্র বিশ্বাস উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের আতারামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর বাজারে মিষ্টির ব্যবসা করতেন।শনিবার (৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের আতারামপুর গ্রামে নিজবাড়িতে তার মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যর পর সুশীল চন্দ্র বিশ্বাস মিষ্টির দোকান থেকে ফেরার পথে মোটরসাইকেল চাপায় গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো দোকানে কাজ সেরে অটোরিকশায় বাড়িতে ফিরছিলেন সুশীল চন্দ্র বিশ্বাস। পথে বাগানবাড়ি নামক স্থানে আসতেই বিপরীত দিক থেকে আসা পাশের গ্রামের রায়হানের মোটরসাইকের চাপায় গুরুতর আহত হন।আহত সুশীল চন্দ্র বিশ্বাসকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেন। কিন্তু পরিবারের লোকজন ঢাকায় না নিয়ে বাড়িতে এনে চিকিৎসার পরিকল্পনা করেন। পরে শনিবার (৩ অক্টোবর) সকালে নিজ বাড়িতেই মারা যান তিনি।
এদিকে সুশীল চন্দ্র বিশ্বাসের মৃত্যু নিয়ে বির্তকের সৃষ্টি হলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নান্দাইল থানার পুলিশ। কিন্তু এলাকার এক সালিশে ঘটনাটি নিয়ে রফা হয়ে গেলে পুলিশ থানায় চলে এলেও সঙ্গে নিয়ে আসে নিহতের ছেলে রিপন বিশ্বাসকে। পরে রিপন বিশ্বাস তার বাবার মৃত্যুর বিচার চান না মর্মে মুচলেকা দেন।এ বিষয়ে ছেলে রিপন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, স্থানীয়রা সালিশে বাবার মৃত্যুর বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছেন। তবে কত টাকার বিনিময়ে মিসাংসা করেছেন সেটা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে সালিশে সভাপতিত্ব করা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সালিশের কথা স্বীকার করে বলেন, এটা নিয়ে কিছু করার দরকার নেই। ফয়সালা করে দিয়েছি।কত টাকায় রফা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকার অংকটা আমার জানা নেই।তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাদির ২ লাখ ৮০ টাকার কথা স্বীকার করে বলেন, টাকা আগামী শনিবারের মধ্যে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করে নান্দাইল থানার ওসি (তদন্ত) আবুল হাসেম জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেয়নি। সেহেতু আমাদের কিছু করার নেই। এ অবস্থায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ সৎকারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply