শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
চুলকাঠি অফিস : বাগেরহাটের সদর উপজেলা চুলকাঠিতে প্লান্টিং ফর ফিউচার সংগঠন”এর উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।এসময় পরিবেশ বান্ধব বৃক্ষরোপন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জাতের ফলজ গাছ লাগিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।উক্ত কর্মসূচি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,মোঃ শাকিল মাহমুদ উপ-সহকারী প্রকৌশলী এলজিইডি, রামপাল,বাগেরহাট। সাংবাদিক অমিত কর বিলাস,সেকেন্দার মোড়ল, শাহরিয়ার সবুজ, রুম্মান মাহমুদ শৈশব,নোমান বিশ্বাস তৌহিদ মোল্লা, আসিফ মোল্লা, দুর্জয় ঘোষ,জাকারিয়া বিশ্বাস, মুজিবুর ফকির,অন্তু দেবনাথ, প্রমূখ।
মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে সারা দেশে এক কোটি চারা বিতরণ ও রোপণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন।সারা বাংলাদেশে তিনি ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২০’-এরও উদ্বোধন করেছেন। তেঁতুল, ছাতিয়ান ও চালতা গাছের চারা রোপণ করেছেন। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বেশকিছু আশাজাগানিয়া কথা বলেছেন।তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস যদিও আমাদের সব অগ্রযাত্রা সাময়িকভাবে থামিয়ে দিয়েছে, আমার আশা জনগণ এর থেকে মুক্তি পাবে এবং আমরা আবারও এগিয়ে যাব। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করা যেমন দরকার, তেমনি দরকার জনগণের খাদ্য ওপুষ্টি।সারা দেশে এক কোটি চারা বিতরণ ও রোপণ কর্মসূচিটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। স্মরণ করা যেতে পারে, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে বৃক্ষরোপণ করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৪ সাল থেকে প্রতি বছর পহেলা আষাঢ় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগ আনুষ্ঠানিকভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে আসছে। এবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষভাবে এই কর্মসূচিটি পালিত হচ্ছে। আমরা আশা করব, প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রত্যেক নাগরিকই এই কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনে এগিয়ে আসবেন। বস্তুত ফলদ, বনজ ও ভেষজ- এ তিন ধরনের বৃক্ষরোপণের যে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, তা শুধু আর্থিকভাবেই দেশের জন্য ফলপ্রসূ হবে না, সারা দেশে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী এ লক্ষ্যেই যে যেখানে অবস্থান করছেন, যার যতটুকু জায়গা রয়েছে, সেখানে বৃক্ষরোপণ করতে বলেছেন। যারা শহরে বাস করেন, তারাও ব্যালকনি কিংবা ছাদে টবে গাছ লাগাতে পারেন বৈকি।দেশে বায়ুদূষণ থেকে শুরু করে নানা ধরনের দূষণ বিরাজ করছে। সারা দেশে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে পারলে এসব দূষণ থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাছাড়া বৃক্ষরোপণের আর্থিক উপযোগিতাও রয়েছে। অনুতাপের বিষয়, নতুন করে বৃক্ষরোপণ দূরের কথা, বৃক্ষ নিধন দেশে একটি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। বৃক্ষ নিধনের বিষয়টি শক্ত হাতে দমন করতে হবে প্রশাসনকে। এক কথায়, সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে, দূষণমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে, সর্বোপরি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে মুজিববর্ষে চলমান বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে দেশের প্রত্যেক নাগরিককেই এগিয়ে আসতে হবে।
Leave a Reply