বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন
চুলকাঠি ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, যেকোনো দুর্যোগে যেকোনো পরিস্থিতিতে মানুষ যখনই কোনো অসহায় অবস্থায় পড়েছে তখনই পাশে দাঁঁড়িয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ দমন থেকে শুরু করে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের অগ্রসর ভূমিকা আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় বঙ্গবন্ধুর সেই ‘জনতার পুলিশের’ কথা। বাংলাদেশ পুলিশ ধীরে ধীরে সত্যিকার অর্থেই বঙ্গবন্ধুর ‘জনতার পুলিশ’ এবং প্রধানমন্ত্রীর ‘জনবান্ধব পুলিশে’ রূপান্তরিত হচ্ছে। আমাদের বর্তমান পুলিশ আর সেই আগের পুলিশ নয়; আমরা এখন তাদের নাগরিক সেবার প্রত্যয় দেখে গর্ববোধ
করি।বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এতে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
সভায় নাগরিকসেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে আইজিপির প্রায়োগিক বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে অধিকতর ত্বরান্বিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে, বাংলাদেশ পুলিশের দুই লক্ষাধিক সদস্য যাতে বিকেন্দ্রীভূত হয়ে নিবিড় পুলিশিং সেবা জনগণের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দিতে পারে, সেজন্য তাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে ‘পুলিশ মেডিকেল সার্ভিসেস’ গঠনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা আলোচনা করা হয়।
পাশাপাশি পুলিশের সদস্যরা যাতে ঢাকামুখী না হয়ে জেলা শহর কেন্দ্রিক চাকরির চিন্তা করেন, সেজন্য বিভাগীয় পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের সন্তানদের জন্য উন্নত মানের বিদ্যাপীঠ প্রকল্প নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয় সভায়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাসসহ বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি এবং বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ইতোমধ্যেই অপরাধ নির্মূলে তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন। ভবিষ্যতমুখী, প্রযুক্তিনির্ভর, চৌকস এই বাহিনীর সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করে চলেছে।
Leave a Reply