বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০৪ অপরাহ্ন
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে যাত্রীদের হয়রানি ও প্রতারণা করে টাকাপয়সা ও মালামাল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন এ তথ্য জানান।
আটকরা হলেন- বেনাপোলের সাদীপুর গ্রামের মোস্তফা মোড়লের ছেলে ইয়াছিন, মোশাররফ হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন, আজিজ সরদারের ছেলে পাভেল সরদার, দুর্গাপুর গ্রামের আকমত আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম, মৃত চাঁদ আলীর ছেলে লুলু সরদার, আব্বাসের ছেলে মোসলেম হোসেন রকি। পুলিশ সুপার বলেন, বেনাপোল বন্দরে পাসপোর্ট যাত্রীদের বিভিন্ন রকমের প্রলোভন ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারক চক্রের সদস্যরা হয়রানি ও প্রতারণা করে টাকাপয়সা ও বিভিন্ন মালামাল নিয়ে নেয়। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে তাদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। এর মধ্যে গত ৮ সেপ্টেম্বর চাপাইনবাবগঞ্জের আব্দুল লতিফ, তার বোন নুরজাহান, খালাতো বোন নাজমা খাতুন ও আলিমুনকে ভারতে পাঠানোর উদ্দেশে বেনাপোল চেকপোস্টে আসেন। চেকপোস্টে নামার পর এক প্রতারক সহজে ভারতে পার করে দেবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশন সংলগ্ন যশোর মানিচেঞ্জার অফিসে পেছনের একটি দোকান ঘরের মধ্যে তাদেরকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদেরকে কোনো সেবা না দিয়ে তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক তিন হাজার টাকা দাবি করে। তারা টাকা দিতে অস্বীকার করলে ১৪/১৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি এসে তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আব্দুল লতিফসহ তাদেরকে উদ্ধার করে। এসময় ইয়াছিন আলী নামে একজনকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াছিন আলী অন্য সহযোগীদের নাম প্রকাশ করে। এ ঘটনায় আব্দুল লতিফ এজাহার দায়ের করেন। পুলিশ এরপর প্রতারক চক্রের ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক চক্রের সদস্যরা জানান, তারা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের সরলতা ও অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে মানিচেঞ্জার, পণ্য আদানপ্রদান, ভ্রমণ ট্যাক্সসহ অন্যান্য ট্যাক্স ও দ্রুত সময়ের মধ্যে পারাপারের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাত্রীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদার, সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) জুয়েল ইমরান বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন খানসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply