মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
বাগেরহাটে অপরাজিতা নেটওয়ার্কের কমিটির সভা গৃহহীনদের ঘর প্রদানে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সংবাদ সম্মেলন বাগেরহাটে জেলা প্রশাসনের প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ নির্মান শ্রমিক ফেডারেশনের বাগেরহাট জেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা বাগেরহাট অপরাজিতা নেটওয়ার্কের কমিটি গঠন ফকিরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিস শুভ উদ্বোধন বাগেরহাটে প্রতিপক্ষের হামলায় দিন মজুর গুরুত্বর জখম র‌্যাবের গুলিতে সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুতে নতুনধারার উদ্বেগ ফকিরহাটের মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন বাগেরহাটের রামপালে মৎস্য চাষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
সাগরে ধরা পড়ছে মণে মণে ইলিশ

সাগরে ধরা পড়ছে মণে মণে ইলিশ

মহামারি করোনাভাইরাস ও ৬৫ দিনের অবরোধের কারণে কষ্টে জীবন যাপন করছেন সমুদ্র উপকূলীয় জেলেরা। দীর্ঘ দুই মাস নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে মাছ ধরা শুরু করেছেন তারা। প্রথমদিকে মাছ না পাওয়ায় হতাশ হলেও বর্তমানে জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের প্রচুর ইলিশ পেয়ে খুশি জেলে, ফিশিং ট্রলার মালিক ও মৎস্য আড়তদাররা। গভীর সমুদ্র থেকে ফেরত আসা ইলিশবোঝাই ট্রলার নিয়ে এখন ব্যস্ত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, আলীপুর-মহিপুরসহ উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন মৎস্য বন্দরের আড়তগুলো।

জেলে আলমগীর হোসেন জানান, ৬৫ দিন অবরোধের পর আবার মাছ ধরতে পেরে আমরা খুশি। প্রচুর ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। অনেক বড় বড় ইলিশ ধরা পড়ছে এবং দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। এখন জেলেরা তাদের পরিবার নিয়ে ভালো থাকতে পারবে। মহামারি করোনাভাইরাস ও অবরোধের কারণে পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে সময় কাটিয়েছেন জেলেরা।

কুয়াকাটা মৎস্য আড়তদার বশির হাওলাদার জানান, অবরোধের পর জেলেরা সাগর থেকে প্রচুর ইলিশ নিয়ে ফিরছেন। ৭০০-৮০০ গ্রামের প্রতি মণ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৪ হাজার টাকায়। আর ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে মণ প্রতি ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকায়। ৯০০ গ্রামের উপরের প্রতি মণ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকা দরে। এভাবে মাছ পাওয়া গেলে মাছের সঙ্গে জড়িতরা অনেক ভালো থাকতে পারবেন।

আলীপুর-মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি ও লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, সাগরে জেলেদের জালে বিভিন্ন সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছে। দীর্ঘদিন অবরোধের পর মাছ পাওয়ায় খুশি জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। একেকটি ট্রলার ২০ থেকে ৫০ মণ ইলিশ নিয়ে ফিরে আসছে। ইলিশ পাওয়ায় কুয়াকাটা, আলীপুর ও মহিপুরের আড়তগুলোতে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানান, অবরোধ শেষে জেলেরা আবার সাগরে মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

তিনি বলেন, মূলত দুটি কারণে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। প্রজনন সুবিধায় যাতে মাছ নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে পারে, আর ছোট মাছকে বড় হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। ফলে বর্তমানে বড় আকারের ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। এবার আমাদের অবরোধ ফলপ্রসূ হয়েছে। আগামীতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০২০২১, www.chulkati24.com

কারিগরি সহায়তায়ঃ-SB Computers